ইভটিজিং প্রতিরোধ দিবস আজ
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ জুন ২০২২, ১২:০৭ অপরাহ্ণ
দৈনিকসিলেট ডেস্ক : নারী উত্ত্যক্তকরণ প্রতিরোধ বা ইভ টিজিং প্রতিরোধ দিবস আজ। ২০১০ সালে প্রথমবারের মতো ইভ টিজিং প্রতিরোধ ও জনসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে ১৩ জুনকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ‘ইভ টিজিং প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে।
এরপর থেকে প্রতি বছর দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। দেশে বিভিন্ন সময় নারী ও কিশোরীদের রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ থেকে শুরু করে কর্মক্ষেত্রেও উত্ত্যক্তের শিকার হতে হচ্ছে। উত্ত্যক্তের শিকার হয়ে অনেক মেয়ের ঘর থেকে বের হওয়া বন্ধ হয়ে যায়। অনেকে আত্মহত্যার পথ পর্যন্ত বেছে নেন।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্যে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত উত্ত্যক্তের শিকার হয়ে চারজন নারী আত্মহত্যা করেছেন। এ সময় উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় দুজনকে প্রাণ দিতে হয়েছে। ৫৪ জন নারী, তরুণী ও কিশোরী উত্ত্যক্তের শিকার হন। আর উত্ত্যক্তকারীর হাতে আহত হন ৫০ জন।
‘ইভ টিজিং’ শব্দের ‘ইভ’ অর্থ নারী, টিজিং মানে উত্যক্ত বা বিরক্ত করা৷ সহজভাষায় বলা যায়, ইভ টিজিং মানে, নারীদের উত্যক্ত করা৷
অক্সফোর্ড অভিধান অনুযায়ী, ইভ টিজিং হচ্ছে সেই ধরনের কর্মকাণ্ড ও আচরণ, যা মানুষের যৌনতাকে উদ্দেশ্য করে মানসিক ও শারীরিকভাবে করা হয়। ইভ টিজিং শব্দটি ৬০-এর দশকের শোনা গেলেও বেশি গুরুত্ব পায় পরবর্তী দশকে, যখন অধিকসংখ্যক মেয়েরা ঘরের গণ্ডি পেরিয়ে পুরুষদের পাশাপাশি বিদ্যালয় ও কর্মক্ষেত্রে যেতে শুরু করে।
আইন অনুযায়ী, ইভ টিজিংয়ের সংজ্ঞা বেশ বিস্তৃত। কোনো নারী বা কিশোরীকে তার স্বাভাবিক চলাফেরা বা কাজকর্ম করা অবস্থায় অশালীন মন্তব্য করা, ভয় দেখানো, অযথাই নাম ধরে ডাকা ও চিৎকার করা, বিকৃত নামে ডাকা, কোনো কিছু ছুড়ে দেওয়া, ব্যক্তিত্বে লাগে এমন মন্তব্য করা, ধিক্কার দেওয়া, তার যোগ্যতা নিয়ে টিটকারী করা, তাকে নিয়ে অহেতুক হাসাহাসি করা, রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে ধাক্কা দেওয়া, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করা, ইঙ্গিতপূর্ণ ইশারা দেওয়া, সিগারেটের ধোঁয়া গায়ে ছাড়া, উদ্দেশ্যমূলকভাবে পিছু নেওয়া এবং গান, ছড়া বা কবিতা আবৃত্তি করা, চিঠি লেখা, পথরোধ করে দাঁড়ানো, প্রেমে সাড়া না দিলে হুমকি প্রদানের মতো বিষয়গুলো ইভ টিজিংয়ের মধ্যে পড়ে।
ইলেকট্রনিক মিডিয়ার এই যুগে মুঠোফোন ও ই-মেইলের মাধ্যমেও ইভ টিজিং হয়ে থাকে।