সিলেটে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার আইন নিয়ে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ জুন ২০২২, ৯:৪৯ পূর্বাহ্ণ
দৈনিকসিলেটডটকম: সিলেট জেলা পর্যায়ে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন বাস্তবায়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণে বিশেষজ্ঞ অভিমত উঠে এসেছে যে, এই ক্ষেত্রে গণসচেতনতা ও আত্মপ্রত্যয়ী মানসিকতা ছাড়া কাক্সিক্ষত ফল মিলবেনা। তাই সচেতনতামূলক সম্ভাব্য সবধরনের কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
সোমবার সকালে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রশিক্ষণে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে এতে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো তুলে ধরেন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^াবিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড মো জাকির হোসেন। ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ব্যাখ্যা করেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো আনোয়ার সাদাত। তামাকের ইতিহাস তুলে ধরেন, সিভিল সার্জন অফিসের জ্যেষ্ঠ স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা সুজন বনিক। সঞ্চালনায় ছিলেন সহকারী কমিশনার সাদিয়া বিনতে সোলায়মান।
প্রশিক্ষণে উঠে আসা তথ্য অনুসারে প্রতিবছর ধূমপান জনিত ক্যান্সারে ৮০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। অধূমপায়ী মারা যায় ১২ লাখ, যারা ধূমপান করেনা; কিন্তু অন্যের প্রকাশ্যে ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাবে একই পরিণতি বরণ করছে।
অধ্যাপক ড মো জাকির হোসেন বলেন, ধূমপানের কারণে কেবল শারীরিক ক্ষতি নয়- অর্থনীতি, পরিবার, সমাজ এবং পরিবেশও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
তিনি ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহারের কারণ হিসেবে পারিবারিক উদাসিনতা, সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের অভাব, অসৎ সঙ্গ, অবক্ষয়, অসচেতনতা, হতাশা, তামাকজাত দ্রব্যের সহজলভ্যতা, আইন না জানা, আইনের যথাযথ প্রয়োগের অভাব, তামাক চাষে নিয়ন্ত্রণ না থাকা ইত্যাদি বিষয়কে দায়ী করেন।
অধ্যাপক ড মো জাকির হোসেন এ অবস্থা থেকে উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন ও কর্মতৎপরতা বাড়ানোর উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো আনোয়ার সাদাত ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইনের বিভিন্ন দিক ব্যাখ্যাসহ তুলে ধরেন।
তিনি ধূমপান ও তামাক ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি এ আইন সম্বন্ধে অবহিত করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
সভাপতি বক্তব্যে স্থানীর সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো মামুনুর রশীদ সন্তানদের দিকে নজর রাখতে অভিভাবকদের পরামর্শ দেন।
তিনি ২০৪১ সালের আগে দেশকে ধূমপানমুক্ত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা বাস্তবায়নে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।
প্রশিক্ষণে আলোচনা পর্বে অংশ নেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইমরুল হাসান, সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার জ্যোতির্ময় সরকার পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মুত্তাজুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা জন্মেজয় দত্ত, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আল আজাদ, প্রবীণ সাংবাদিক-লেখক আফতাব চৌধুরী, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মলয় ভূষণ চক্রবর্তী, প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের উপপরিচালক সাখাওয়াৎ এরশেদ, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা সাইদুর রহমান ভূঞা, জেলা তথ্য কর্মকর্তা উজ্জ্বল শীল, আরজদ আলী স্মৃতি কল্যাণ পাঠাগারের নির্বাহী পরিচালক মুহাম্মদ ছাদিকুল আলম প্রমুখ।#