আবহাওয়া বিভাগের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ায় সময়মতো মিলছে সঠিক পূর্বাভাস : জেলা প্রশাসক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ জুন ২০২২, ৯:২৫ অপরাহ্ণ
দৈনিকসিলেটডটকম: সিলেটের জেলা প্রশাসক মো মজিবর রহমান বলেছেন, আবহাওয়া বিভাগের সক্ষমতা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। তাই সঠিক পূর্বাভাস দিতে পারছে ঝড়-বৃষ্টি-বন্যার। তবে এই পূর্বাভাস কৃষকসহ সাধারণ মানুষের কাছে দ্রুত পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
মঙ্গলবার সকালে সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আবহাওয়া, জলবায়ু ও চরম আবহাওয়া দুর্যোগ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
বিশ্বব্যাংকের ঋণ সহায়তায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন ‘বাংলাদেশ আঞ্চলিক আবহাওয়া ও জলবায়ু সেবা প্রকল্পের আওতায় আবহাওয়া তথ্যসেবা ও আগাম সতর্কবাণী পদ্ধতি জোরদারকরণ (কম্পোনেন্ট-এ)’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক বলেন, সময়মতো কৃষক সহ সাধারণ মানুষের কাছে আবহাওয়ার পূর্বাভাস পৌঁছে দিতে পারলে বজ্রপাতে মৃত্যু কমবে। সুযোগ থাকবে অকাল বন্যার আগেই ফসল ঘরে তোলার। বন্যা হলেও ক্ষয়ক্ষতি কম হবে।
তিনি বলেন, উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় শক্তি ও সাহসে দুর্যোগ মোকাবেলা করেই এগিয়ে যেতে হবে।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন, সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো আনোয়ার সাদাত, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ কাজী মজিবুর রহমান ও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোনোমি ও হাওর কালচার বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড মোহাম্মদ নূর হোসেন মিয়া। সভাপতিত্ব করেন, চট্টগ্রাম আবহাওয়া ও ভূ প্রাকৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক সৈয়দ আবুল হাসানাৎ।
অতিথিবৃন্দ অভিমত ব্যক্ত করেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ বিশ্বে এখন রোল মডেল। আবহাওয়ার প্রভাব ঠেকানো যায়না। তাই খাপ খাইয়ে নিতে হয়। দেশে এমন জাতের ধান উদ্ভাবন করতে হবে, যা ঠাণ্ডা, বন্যা ও জলোচ্ছ্বাসে বিনষ্ট হয়না।
সেমিনারে আবহাওয়া অধিদপ্তর সিলেটের আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী আবহাওয়া পূর্বাভাস, বজ্রপাত ও ভূমিকম্প নিয়ে আলোচনা করেন।
এ সময় তিনি জানান, আধুনিকায়নের ফলে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া যেমনি সহজ হয়েছে তেমনি সঠিক তথ্য প্রাপ্তিও নিশ্চিত হয়েছে।
তিনি আরও জানান, সিলেট আবহওয়া অফিসে ঈদের চাঁদ দেখার আধুনিক যন্ত্র বসানো হয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস, অকাল বন্যা ও কৃষির উন্নয়ন বিশেষ করে ফসল রক্ষা নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর, কৃষি বিভাগ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড একত্রে কাজ করছে।