গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজারে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ, গণনা চলছে
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ জুন ২০২২, ৬:১১ অপরাহ্ণ
দৈনিকসিলেট ডটকম : সিলেটের বিয়ানীবাজার পৌরসভা ও গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার (১৫ জুন) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভােটিং মেশিনে (ইভিএম) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে বৃষ্টির কারণে প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রেই ভোটারের উপস্থিতি ছিলো কম।
সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন পরিচালনার লক্ষ্যে দুই নির্বাচনী এলাকার কেন্দ্রগুলােতে ১ হাজার ২৫৫ জন পুলিশ মােতায়েন ছিলো। পাশাপাশি ২ হাজার ৪২১ জন আনসার সদস্যও দায়িত্ব পালন করে। এ ছাড়া র্যা এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটও দায়িত্ব পালন করেন।
গােলাপগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মঞ্জুর কাদির শাফি চৌধুরী এলিম ক্ষমতাসীন দলের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘােড়া প্রতীকের মাে. শফিক উদ্দিন।
উপজেলায় মােট ভােটার ২ লাখ ৪০ হাজার ১০০ জন। এর মধ্যে ১ লাখ ২২ হাজার জন নারী এবং ১ লাখ ১৮ হাজার ৩ জন পুরুষ। মােট ভােটকেন্দ্র ১০২টি।
অপরদিকে, বিয়ানীবাজার পৌরসভায় মেয়র পদে লড়েছেন ১০ জন। কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করেছেন ৪৮ জন ও ১০ জন আর সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ১০ জন। মেয়র পদে লড়েছেন দলীয় প্রতীকে আওয়ামী লীগ মনােনীত প্রার্থী বর্তমান মেয়র আব্দুস শুকুর (নৌকা), জাতীয় পার্টির মাে. সুনাম উদ্দিন (লাঙল) এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির মােহাম্মদ আবুল কাশেম (কাস্তে) মার্কা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
আর বাকি ৭ জন স্বতন্ত্রভাবে মেয়র পদে লড়েছেন। তারা হলেন- আহবাবুর রহমান সাজু প্রতীক (কম্পিউটার), আওয়ামী বিদ্রোহী ফারুকুল হক (চামচ), আব্দুস সামাদ আজাদ (হ্যাঙ্গার), মােহাম্মুদ অজি উদ্দিন (নারিকেল গাছ), মােহাম্মদ আব্দুস সবুর (মােবাইলফোন), আওয়ামী লীগ। বিদ্রোহী মাে. আব্দুল কুদ্ছ (হেলমেট), সাবেক পৌর প্রশাসক তফজ্জল হােসেন (জগ), আওয়ামী লীগ মনােনীত প্রার্থী আব্দুস শুকুর, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক জিএস ফারুকুল হক, সাবেক পৌর প্রশাসক তফজ্জুল হােসেন ও সতন্ত্র প্রার্থী আব্দুস সবুর।
বিয়ানীবাজার পৌরসভায় ৯টি ওয়ার্ডে সর্বমােট ভােট কেন্দ্রের সংখ্যা ছিলো ১০টি ও ভােট কক্ষ ৮০টি। এই পৌরসভার মােট ভােটার ২৬ হাজার ৭৯০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভােটার ১৩ হাজার ৮৭০ জন এবং নারী ভােটার ১৩ হাজার ৯২০জন।
বুধবার সকাল থেকে প্রতিটি কেন্দ্রে ৫ জন করে পুলিশ স্ট্যান্ডবাই ডিউটিতে ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন নারী ও পুরুষ আনসার সদস্যরা। সড়কের মােড়ে মােড়ে তল্লাশি চৌকি (চেকপােস্ট) বসানাে হয় ১৮টি। গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) কেন্দ্র বিবেচনায় ভােটের দিনভর ৪৭টি মােবাইল টিম কাজ করে। প্রতি ৩টি কেন্দ্রে ১টি মােবাইল টিম দায়িত্ব পালন করে। মাঠে ছিলো ৬টি স্ট্রাইকিং ফোর্স ও ডিবির ৪টি টিম। এছাড়া র্যাব-৯ সদস্যরাও তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেন।