বিয়ের পর থেকেই ছিল কলহ, স্ত্রীকে হত্যার পর থানায় স্বামী
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ জুন ২০২২, ১২:৪৩ অপরাহ্ণ
দৈনিকসিলেট ডেস্ক : কুষ্টিয়ায় স্ত্রীকে হত্যার পর থানায় নিজেকে সোপর্দ করেছেন স্বামী। বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কুষ্টিয়া মডেল পুলিশ স্টেশনে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ প্রথমে কিংকর্তব্যবিমুঢ় হলেও লোকটি যখন তাদের সঙ্গে নিয়ে স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধারে যেতে বলেন তখন পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পায়।
ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে স্বামী রনি হোসেন (৪২) ও তার মাকে কলেজ মোড় এলাকায় রাজু আহম্মেদ সড়কের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ রাতেই মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নিহত রত্না খাতুন (৩৫) কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার চারমাইল এলাকার নাজিম উদ্দীনের মেয়ে। রনি হোসেন কুষ্টিয়া সদরের বটতৈল গ্রামের মৃত আলতাফ হোসেনের ছেলে। তিনি পেশায় ইজিবাইকচালক। তাদের ২ সন্তান রয়েছে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নিশিকান্ত সরকার বলেন, সাড়ে ৮টার দিকে ওই ব্যক্তি থানায় আসেন। কিছুক্ষণ ঘোরাফেরা করেন। একপর্যায়ে কর্তব্যরত কনস্টেবলকে জানান যে তিনি তার স্ত্রীকে হত্যা করেছেন। তাকে নিয়ে মরদেহ উদ্ধারে যেতে বলেন।
ওই কনস্টেবল রনিকে নিশিকান্ত সরকারের কাছে নিয়ে যান। সে সময় রনি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক অবস্থায় ছিলেন বলে পুলিশ কর্মকর্তা জানান। দ্রুত পুলিশ তাকে নিয়ে একটি তিনতলা বাড়ির তৃতীয় তলায় গিয়ে বাথরুম থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের বাবা আজিম মৃধা জানান, ২০০৭ সালে পারিবারিকভাবে রনির সঙ্গে রত্নার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই কলহ ছিল। রনি মাঝে-মধ্যেই তার মেয়ের ওপর অত্যাচার করতো। নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে গেলে রত্না সন্তানদের নিয়ে বাপের বাড়ি চলে আসত।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতিকুল ইসলাম জানান, রনি তার স্ত্রীকে বাথরুমে নিয়ে হত্যা করেন। হত্যার পর সে তার মাকে জানান। তার মা তাকে ঘটনা পুলিশে জানাতে বলেন। এরপর রনি পুলিশের কাছে যান।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বিরুল আলম, রনি ও তার মাকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে। রনি ও তার মাকে আসামি করে নিহতের বাবা আজিজ মৃধা হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।