নগরীরর কানিশাইলে নৌ ডাকাতের হানা এবং গুজব
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ জুন ২০২২, ১১:৫৪ পূর্বাহ্ণ
দৈনিকসিলেট ডটকম : সিলেটের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে শুরু হয়েছে চোর ডাকাতদের উৎপাত এবং গুজব সৃষ্টির অপতৎপরতা।
শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে নগরীর কানিশাইল এলাকায় নৌ ডাকাতের দল হানা দিয়েছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। তারা জানান, ডাকাত দল একটি ইঞ্জিন নৌকা নিয়ে সুরমা নদী হয়ে কানিশাইল এলাকায় ঢুকার চেষ্টা করে। বিষয়টি স্থানীয়রা টের পেয়ে এলাকার বিভিন্ন মসজিদের মাইকে ডাকাত আসার খবরটি প্রচার করেন। এতে মানুষজন ঘুম থেকে উঠে লাঠিসোঁটা, পাইপ, রড নিয়ে রাস্তায় নেমে আসেন। অপরিচিত কাউকে পেলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। এভাবে হৈ হুল্লা শুরু করলে এক পর্যায়ে ডাকাত দল ইঞ্জিন নৌকা নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
তবে অন্য একটি সূত্রমতে ইঞ্জিন নৌকায় যারা ছিলো তারা নাকি ডাকাত ছিলো না। এরা ইঞ্জিন নৌকা করে বন্যার পানি দেখতে বেরিয়ে ছিলো। পরিস্থিতি অনুকুল না দেখে তারা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এসময় বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিলো, ছিলনা ইন্টারনেট সেবাও, বন্ধ ছিলো মুঠোফোনের নেটওয়ার্ক। টানা বৃষ্টি ও বজ্রপাত চলছিলো । ফলে একাবাসীর মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
এই বিষয়টি নিয়ে একটি মহল নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়াতে থাকেন। তারা ডাকাতের বিষয়টি নগরীর অধিকাংশ মসজিদ থেকে মাইকে প্রচারের ব্যবস্থা করেন। ভাবখানা এই ডাকাতরা পুরো নগরী দখল করে নিয়েছে। এতে করে বিদেশে বসবাসরত স্বজনরা আতংকিত হয়ে পড়েন, মোবাইল নেটওর্য়াক না থাকায় তারা দেশে যোগাযোগ করতেও পারছিলেন না। তারা এধরণের পরিস্থিতিতে কোন ধরণের গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকতে বিশেষভাবে অনুরোধ করেন।
এ ব্যপারে পুলিশ প্রশাসনের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে সংযোগ পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা বলছেন সুরমা নদীর নিকটবর্তি আবাসিক এলাকাগুলোতে অধিক পুলিশী নজরদারি বাড়াতে হবে। বিশেষ করে কানিশাইল, শামীমাবাদ, আখালি ঘাট, তপোবন আবাসিক এলাকা, শেখঘাট, ভাতালিয়া এলাকা।