জগন্নাথপুরে বন্যায় মৃত্যু-১, ত্রাণের জন্য হাহাকার
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ জুন ২০২২, ৫:৩১ অপরাহ্ণ
জগন্নাথপুর সংবাদদাতা: বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
সোমবার(২০ জুন) বন্যায় আনহার মিয়া (২৭) নামের এক ফলব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার(১৮ জুন) তিনি জগন্নাথপুর সদর বাজার থেকে খোলা নৌকা যোগে নিজ উপজেলার এরালিয়া গ্রামে যাচ্ছিল।ওই সময় বন্যার ঢলে এরালিয়া সড়কে এলাকায় নৌকা ডুবে নিখোঁজ হন। নিখোঁজের দুইদিন পর তাঁর লাশ উদ্ধার করেছেন তাঁর স্বজন।
মৃত ওই ব্যবসায়ীর বড় ভাই আক্তার হোসেন বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে গত রবিবার থেকে ধীরে ধীরে পানি কমলেও পানিবন্ধি মানুষ চরম দুভোর্গে আছেন।
গত শুক্রবার ভোররাত থেকে জগন্নাথপুর পৌরসভাসহ উপজেলাজুড়ে বন্যার ভয়াবহ রূপ নেয়। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগব্যবস্থা ও বিদ্যুৎ সংযোগ। সিলেটের বিভাগীয় শহরের সঙ্গে যোগাযোগের প্রধান সড়ক জগন্নাথপুর-সিলেট সড়ক, জগন্নাথপুর-সুনামগঞ্জসহ জগন্নাথপুর উপজেলা সদরের সঙ্গে যাতায়াতের সড়কগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। পৌরশহরের প্রধান ব্যবসাকেন্দ্র, জগন্নাথপুর বাজার, উপজেলা পরিষদ, এসিল্যান্ড অফিসসহ গুরুত্বপূর্ণ সেবাকেন্দ্রগুলোতেও পানি উঠেছে। এছাড়া গ্রামীণ রাস্তাঘাট তো ডুবেছেই পানিতে। গত শুক্রবার থেকে জগন্নাথপুরের প্রায় চার লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
সরেজমিন কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে উপচেপড়া ভিড়। এসব কেন্দ্র গত তিনদিন ধরে সরকারী কোন ত্রাণ সহায়তা পৌঁছেনি। ফলে মানুষের জন্য ত্রানের জন্য হাহাকার চলছে।
নলুয়া হাওরবেষ্টিত চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বকুল বলেন, আমাদের পুরো ইউনিয়নের মানুষ বন্যায় বিপর্যস্ত। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে ত্রাণের জন্য আহাজারি চলছে। মানুষ কাঁদছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ও মোবাইল নেটওয়ার্ত ও ইন্টারনেট না থাকায় অচল হয়ে আছি আমরা। কে কোথা আছে তাও নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।এরমধ্যে ডাকাত আতঙ্গে চোখে ঘুম নেই মানুষের।
এদিকে, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে জগন্নাথপুরের বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ফলে মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট কাজ করছে না।
জগন্নাথপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাজেদুল ইসলাম বলেন, পানিবন্দি মানুষের জন্য আশ্রমকেন্দ্র খোলা হয়েছে। এছাড়া বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দিতে আমরা তৎপর রয়েছি।