হবিগঞ্জ জেলায় বন্যায় আতঙ্ক কমলেও কমেনি দূর্ভোগ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ জুন ২০২২, ৭:৩০ অপরাহ্ণ

নুর উদ্দিন সুমন, হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জ জেলায় বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশিল রয়েছে। কমতে শুরু করেছে নদ-নদীর পানি। তবে ভাটি এলাকা পানিতে ভরপুর ও হাওরে পলি জমায় বন্যার পানি নামতে সময় লাগবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মিনহাজ আহমেদ শোভন জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পানি স্থিতিশীল রয়েছে।
এছাড়া খোয়াই নদীর পানি কমে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে। প্রতি ঘন্টায় ১০ সেন্টিমিটার করে কমছে কালনি-কুশিয়ারা নদীর পানি। তিনি বলেন, ‘বৃষ্টি না হলে বন্যা পরিস্থিতির আর অবনতি হবে না। তবে হবিগঞ্জের ভাটি এলাকা কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন হাওরে পানিতে টইটুম্বর। এছাড়া বানের পানিতে হাওরে পলি জমেছে। তাই পানি নামবে খুব কম গতিতে। পানি স্থিতিশিল থাকায় আতঙ্ক কমলেও কমেনি দূর্ভোগ। রাস্তাঘাট তলিয়ে থাকায় এখনও পানিবন্দি জেলার ৫ লাখ মানুষ।
স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ, বানিয়াচং, লাখাই, নবীগঞ্জ, হবিগঞ্জ সদর ও মাধবপুর উপজেলার ৫১টি ইউনিয়ন বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। সরকারি হিসাবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ লোকের সংখ্যা ৭৯ হাজার ৭২০ জন।জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান জানান, ২২৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছেন ২৩ হাজার ২৩৫টি পরিবার। দুর্গতদের জন্য ৭শ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে দুই লাখ টনের বেশি চাল বিতরণ করা হয়েছে। একই সাথে ১০ লাখ টাকা ও শুকনো খাবার দেয়া হচ্ছে। বন্যার্তদের চিকিৎসার জন্য মাঠে কাজ করছে ৩০টি মেডিক্যাল টিম। স্থানীয়দের দাবি, ক্ষতিগ্রস্থের সংখ্যা কয়েক গুণ বেশি। প্রায় ৫ শতাধিক গ্রামের পানিবন্দি অন্তত ৫ লাখ মানুষ। এদিকে, বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করায় কমেছে খাবারের হাহাকার। তবে বিশুদ্ধ পানি সংকট এখনও চরমে।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন