সিলেটে কমছে পানি, ছড়িয়ে পড়েছে দুর্গন্ধ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ জুন ২০২২, ১২:৫৭ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেট নগর এর আশপাশের এলাকায় বন্যার পানি অনেকটাই কমেছে। তবে এখন রাস্তাঘাটে জমে থাকা বন্যার ময়লা পানি থেকে দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করেছে। এদিকে পানি কমতে শুরু করায় অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে।
শনিবার (২৫ জুন) সকালে নগরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রধান সড়কগুলোর যেসব স্থানে পানি জমে ছিল, সেগুলো প্রায় নেমে গেছে। তবে কিছু সড়কে এখনো পানি রয়েছে। এর মধ্যে সিলেট নগরের শাহজালাল উপশহর, তালতলা সড়কসহ বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার সড়কগুলোতেও পানি রয়ে গেছে। তবে সব কটি সড়কেই যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।
নগরের যতরপুর, মিরাবাজার, শাহজালাল উপশহর, সোবহানীঘাট, মির্জাজাঙ্গাল, তালতলা, জামতলা, শেখঘাট, ঘাসিটুলা, কুয়ারপাড়, লালাদিঘীর পাড় এলাকার পাড়া-মহল্লার পানি ময়লা ও কালো রং ধারণ করেছে। এসব স্থানে জমে থাকা পানি থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
যতরপুর এলাকার বাসিন্দা শাহনেওয়াজ হোসেন বলেন, পানি কমে যাওয়ার পর নতুন করে ভোগান্তি শুরু হয়েছে। আগে বেশি পানি থাকায় পানি কিছুটা ঘোলা থাকলেও তেমন ময়লা ছিল না। এখন পানি ময়লা হয়ে কালো রং ধারণ করেছে। প্রতিনিয়ত ময়লা পানি মাড়িয়ে চলাফেরা করতে হচ্ছে। এতে সবার পায়ে চুলকানি হচ্ছে।
সিলেট জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত সিলেট সিটি করপোরেশনের আংশিক, জেলার ১৩টি উপজেলা ও ৫টি পৌরসভায় ৩ লাখ ৮৯ হাজার ৩২০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২২ হাজার ১৫০টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফসল নষ্ট হয়েছে ২৮ হাজার ৯৪৫ হেক্টর।
এদিকে সিলেটের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি কমার খবর পাওয়া গেছে। সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, আজ শনিবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে দশমিক শূন্য ৯ সেন্টিমিটার কমে ১৩ দশমিক ৫৮ সেন্টিমিটারে অবস্থান করছে। একই সময়ে নদীর সিলেট পয়েন্টে পানি দশমিক শূন্য ৭ সেন্টিমিটার কমে ১০ দশমকি ৮২ সেন্টিমিটারে অবস্থান করছে। এ ছাড়া কুশিয়ারা নদীর শেওলা পয়েন্ট, শেরপুর পয়েন্টেও পানি কমেছে। তবে কুশিয়ার নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টের পানি শুক্রবার থেকে অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিলেট পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমেদ বলেন, সিলেটে বৃষ্টি না হওয়ায় পানি কমতে শুরু করেছে। তবে ধীরগতিতে পানি নামছে। আর বৃষ্টি না হলে আগামী দুই-এক দিনের মধ্যে পানি আরও কমে যাবে বলে আশা করছেন তিনি। তবে আগামী মাসের শেষ দিকে আবার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।