বন্যায় ভেসে গেছে শিক্ষার্থীদের পাঠ্য বই, সিলেট-সুনামগঞ্জে বই বিতরণ করা জরুরী
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ জুন ২০২২, ১০:৪৪ অপরাহ্ণ
মুহিত চৌধুরী: সিলেট এবং সুনামগঞ্জে ভয়াবহ বন্যায় প্রায় ত্রিশহাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। সেই সাথে ভেসে গেছে পঞ্চাশ হাজার শিক্ষার্থীর পাঠ্যবই । ভেসে গেছে এসএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড এবং নোট।
বন্যার পানি কমে যাওয়ায় অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরেছেন। শহর এলাকায় বেশ কিছু স্কুলে আজ রবিবার থেকে ক্লাস শুরু হয়েছে। কিন্তু অনেক শিক্ষার্থী স্কুলে গেলেও বইখাতা নিয়ে যেতে পারেনি।
আমাদের কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি আব্দুল জলিল জানান, কোম্পানীগঞ্জের ৭২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়,৭টি উচ্চ বিদ্যালয়, ৩টি মাদ্রাসা এবং ১টি কলেজের প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষার্থীর পাঠ্য বই বন্যার পানিতে নস্ট হয়ে গেছে।
একই অবস্থা সুনামগঞ্জ জেলায়।
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার কালারুখা ইউনিয়নের রায়সন্তোষপুর গ্রামের এসএসসি পরীক্ষার্থী মো. পাভেল আহমেদ মানসিকভাবে খুবই বিপর্যস্থ । তার দীর্ঘদিনের বানানো নোট খাতা, বইপত্র সব ভেসে গেছে ভয়াল বন্যায়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সহধর্মিণী, মোমেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট সমাজসেবী সেলিনা মোমেন গত বৃহস্পতিবার থেকে সিলেটে অবস্থান করছেন। তিনি মোমেন ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রতিদিন সিলেট সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ত্রান বিতরণ করছেন।
সেলিনা মোমেন দৈনিকসিলেটডটকমকে জানান, তাঁর কাছ থেকে ত্রান গ্রহন করার পর অনেকেই তাদের সন্তানদের জন্য পাঠ্যবই বিতরণ করার দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেন, বন্যার শ্রোতে তাদের সন্তাদের পাঠ্যবই ভেসে গেছে।
প্রাইমারী এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এই পাঠ্যপুস্তকগুলো বাজার থেকে কেনারও সুযোগ নেই এইসব বই বাজারে পাওয়া যায় না।
সরকার প্রতিবছর পহেলা জানুয়ারিতে নতুন বই বিনামূল্যে শিক্ষার্থীর হাতে উৎসব করে তুলে দেন।
বিষয়টি নিয়ে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ইয়াসমিন নাহার রুমা-এর সাথে কথা বললে তিনি দৈনিকসিলেটডটকমকে জানান, বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তবে এ ব্যাপারে আমাদের সাথে এখনও কেউ যোগাযোগ করেনি।
শিক্ষা বছরের এখনও ৬ মাস বাকী, তাই সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যাদুর্গত এলাকার শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকরা সরকারের কাছে দ্রুত পাঠ্যবই বিতরণের দাবী জানিয়েছেন ।