মৃত্যুদণ্ড টিভিতে লাইভ সম্প্রচারের নির্দেশ মিশরীয় আদালতের
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ জুলাই ২০২২, ৯:৫২ অপরাহ্ণ
দৈনিকসিলেটডেস্ক:সহপাঠী বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছিলো এক ব্যক্তি । সেই হত্যাকারীর মৃত্যুদণ্ড সরাসরি টিভিতে সম্প্রচারের আহ্বান জানিয়েছে মিশরের একটি আদালত। ইন্ডিপেনডেন্টের খবর অনুযায়ী , ২১ বছর বয়সী মোহাম্মদ আদেলকে গত মাসে উত্তর মিশরের মানসুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে সহকর্মী নায়েরা আশরাফকে হত্যার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। ২৮ শে জুন তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, এখন মনসুরা কোর্টহাউস সংসদে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে যাতে ভবিষ্যতে একই ধরনের অপরাধ না ঘটে তার জন্য মোহাম্মদ আদেলের মৃত্যুদণ্ড টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করার নির্দেশ দেয়া হোক ।
আদালতের তরফে বলা হয়েছে, “গোটা ঘটনা যদি নাও বা দেখানো হয়, অন্তত কার্যক্রম শুরুর কিছুটা অংশ দেখাতে হবে। আদেলকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার ঘোষণাও লাইভ দেখানো হয়েছিল। কিন্তু তাতেও মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হয়নি।” আদালত জানিয়েছে যে, আশরাফ বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছিলেন আদেল । এই হত্যাকাণ্ডের জন্য তাকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এটি এমন একটি সিদ্ধান্ত যা অনুমোদনের জন্য মিশরের গ্র্যান্ড মুফতি ডঃ শাওকি আল্লামের কাছে যেতে হয়েছিল। ২৪ জুলাই এই রায় প্রকাশ করা হয়। আদেলের আইনি দল এখনও তার পক্ষে লড়াই করছে।
বিজ্ঞাপন
আসামিপক্ষের আইনজীবী ফরিদ এল-দিব জানান, তার মক্কেল সাজার বিরুদ্ধে আপিল করবেন। আইনজীবী এল-দিবকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, “আদেলের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড চ্যালেঞ্জ করার জন্য আমাদের কাছে এখনও ৬০ দিন আছে।”
দ্য ন্যাশনালের মতে, ব্যস্ত রাস্তায় মিসেস আশরাফের হত্যার গ্রাফিক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে শেয়ার করার পর থেকে লাখ লাখ মিশরীয় এই ভয়াবহ ঘটনাটি অনুসরণ করছে। নায়েরা আশরাফের হত্যাকাণ্ড মিশরেও লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতার বিষয়ে আলোকপাত করেছে। গত বছর, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও বলেছে যে, পুলিশ যৌন ও লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতার পর্যাপ্ত তদন্ত করেনি, আদালতও উপযুক্ত শাস্তি দেয়নি। ইন্ডিপেনডেন্টের মতে, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে মিশরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে । শেষবার ১৯৯৮ সালে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে জনসমক্ষে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল , সেইসময়ে একজন মহিলা এবং তার দুই সন্তানকে হত্যাকারী তিনজন ব্যক্তিকে ফাঁসি দেয়া হয়েছিল
সূত্র : independent.co.uk