পিত্তথলিতে যন্ত্রণার ৩ কারণ
দৈনিক সিলেট ডট কম
দৈনিকসিলেটডেস্ক: গলব্লাডার বা পিত্তথলিতে পাথর হবার বিষয়টি নতুন কিছু নয়। এই সমস্যায় অনেকেই ভুগে থাকেন। এর ফলে পেটের উপরের অংশের ডানদিকে তীব্র ব্যথা হয়।
অনেকেই ভাবে পিত্তথলিতে ব্যথার একমাত্র কারণ হচ্ছে পাথর। তবে পিত্তথলিতে ব্যথার কারণ সব সময় পাথর নয়। যকৃতের নীচে ডান দিক ঘেঁষে অবস্থিত একটি ছোট অঙ্গ পিত্তথলি। লিভার বা যকৃত দ্বারা উৎপাদিত অতিরিক্ত পিত্ত এই পিত্তথলি বা গলব্লাডারে এসে জমা হয়। মাঝেমাঝে অনেকেই গলব্লাডারের যন্ত্রণায় কষ্ট পান। প্রাথমিক ভাবে এই ব্যথার এক মাত্র কারণ হিসাবে পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা করা হয়। তবে সব ক্ষেত্রে সেটাই এক মাত্র কারণ নয়।
দেখে নেওয়া যাক অন্য কারনগুলো কি হতে পারে-
কোলেসিস্টিসের দুটি কারণ রয়েছে— ‘অ্যাকিউট কোলেসিস্টিস’ এবং ‘অ্যাক্যালকুলাস কোলেসিস্টিস’। অ্যাকিউট কোলেসিস্টিসেরঘটে পিত্তথলিতে পাথর আটকে যাওয়ার ফলে। অ্যাক্যালকুলাস কোলেসিস্টিস হল পিত্তনালীতে এক ধরনের ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণ।
পিত্তনালীতে পাথরের উপস্থিতি ‘কোলেডোকোলিথিয়াস’ নামে পরিচিত। এটি পিত্তের প্রবাহকে রোধ করে ফলে চাপ ও ব্যথা বৃদ্ধি পায়।
পিত্তথলিতে কোলেস্টেরল মনোহাইড্রেট, ক্যালশিয়াম বিলিরুবিন এবং অন্যান্য লবণের সংমিশ্রণ হল ‘বিলিয়ারি স্লাজ’। এই পদার্থগুলো জমা হওয়ার ফলে পিত্তথলিতে ব্যথা হতে পারে।
দেখে নেওয়া যাক কোন লক্ষণগুলো হলে জানা যাবে গলব্লাডারে কোনও সমস্যা তৈরি হয়েছে-
পেটের ডান দিকে থেকে ব্যথা শুরু হয়ে ধীরে ধীরে সেই ব্যথা কোমর এবং ডান কাঁধ পর্যন্ত ছড়িয়ে যায়। এই রকম ব্যথা হলে আগে থাকতে সতর্ক হওয়া উচিত।
পেটের ডানদিকে তীব্র ব্যথার সঙ্গে বমি বমি ভাব, গা গোলানো এবং বমিও হতে পারে।
পিত্তথলিতে প্রদাহের কারণে শরীরের তাপমাত্রাও বৃদ্ধি পেতে পারে। পিত্তনালীতে বাধা এবং পিত্তথলি থেকে পাথরের স্খলনের ফলে গাঢ় রঙের প্রস্রাবে হতে পারে।
সূত্র: আনন্দবাজার