শাকিব-বুবলী-অপু সম্পর্কের কিছু গাণিতিক সমীকরণ
দৈনিক সিলেট ডট কম
দৈনিকসিলেট ডেস্ক : চিত্রনায়িকা শবনম বুবলীর ফেসবুক পেজ যেন এখন কোনো টিভি চ্যানেল। তার ফেসবুক পোস্টে একটার পর একটা ‘ব্রেকিং নিউজ’ আসছে। সঙ্গে সঙ্গে পুরো চলচ্চিত্রপাড়া সরগরম হয়ে উঠছে। শাকিব খান-বুবলী-অপু বিশ্বাস এখন শোবিজের সবচেয়ে চর্চিত নাম। এই তিনজনের সঙ্গে এক উঠতি নায়িকার নামও বারবার ঘুরে-ফিরে আসছে।
ঘটনার শুরু মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বুবলীর ‘বেবি বাম্প’র ছবি প্রকাশের মধ্য দিয়ে। এরপর শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) প্রকাশ্যে আনেন তার ও শাকিবের পুত্র শেহজাদ খান বীরকে। সবশেষ সোমবার (৩ অক্টোবর) প্রকাশ করেন তাদের বিয়ে ও সন্তান জন্মের তারিখ। এভাবে ধারাবাহিকতা চলতে থাকলে আগামী ৬ অক্টোবরও হয়তো নতুন কোনো বিষয় সামনে নিয়ে আসতে পারেন বীরের মা! লক্ষ করলে দেখা যায়, প্রত্যেকটি ‘ব্রেকিং নিউজ’-এর মাঝখানে ৩ দিনের বিরতি।
বিরতির কথা যখন এলোই তখন আরেকটা বিষয়ও সামনে আসে। চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসের সঙ্গে ছাড়াছাড়ির ঠিক কতদিন পর বিয়ে করেন শাকিব-বুবলী? এই প্রশ্নটাও আসছে নেটিজেনদের মনে। ২০১৮ সালের ১২ মার্চ থেকে একই বছরের ২০ জুলাই, দিনের হিসাব গণনা করলে মাঝখানে বিরতি ১২৮ দিন। বুবলী-শাকিবের বিয়ের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে ১৫৩৬ দিন বিরতি দিয়ে। এবার মাস ও বছরের দিকে লক্ষ করলে দেখা যায়, শাকিব-অপুর বিবাহবিচ্ছেদের ৪ মাস পর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন শাকিব-বুবলী। পাশাপাশি বুবলী তাদের বিয়ের বিষয়টা প্রকাশ্যে আনেন বিয়ের ৪ বছর পর।
বুবলীর দেওয়া প্রত্যেকটি ‘ব্রেকিং নিউজ’-এর মাঝখানে ৩ দিন বিরতির রহস্য আসলে কী? খুব সম্ভবত তিনি ইংরেজি বছরের তৃতীয় মাসকে ইঙ্গিত করছেন। কেননা, ২০১৮ সালের মার্চ মাসে শাকিব-অপুর ডিভোর্স হয়। কাকতালীয়ভাবে ২০২০ সালের মার্চ মাসেই শাকিব-বুবলীর ছেলে শেহজাদ খান বীরের জন্ম।
অতীতে বুবলী যেমন শাকিবের সঙ্গে ছবি তুলে ফেসবুক ক্যাপশনে লেখেন, ‘পারিবারিক সময়’ আর তাতেই অপু ব্যাপক চটে যান। তেমনি এবার অপু যখন শাকিবের বাসায় পুত্র জয়ের কেক কাটার আনন্দঘন মুহূর্তের বেশ কিছু ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেন। ক্যাপশনে লেখেন, ‘সুখী পরিবারের কিছু মুহূর্ত। আমাদের জন্য সবাই দোয়া করবেন।’ এর প্রতিক্রিয়ায় বুবলীও জ্বলে ওঠেন। দুটি ক্যাপশনেই ‘পরিবার’ শব্দটি কমন।
এবার আসে ‘দোয়া’র বিষয়টি। অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলী দুজনই তাদের পোস্টের শেষাংশে ‘আমাদের জন্য সবাই দোয়া করবেন’ বাক্যটি জুড়ে দিয়ে সবার কাছে দোয়া চান। দেখা যাক, কার দোয়া ‘কবুল’ আর কারটা ‘ব্যর্থ’ হয়। নাকি তৃতীয় কারো পূজাতে ঘটনা অন্য দিকে মোড় নেয়।