কর্ণফুলীতে জাহাজডুবিতে আরো দুই মরদেহ উদ্ধার
দৈনিক সিলেট ডট কম
দৈনিকসিলেট ডেস্ক : চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে ডুবে যাওয়া ফিশিং জাহাজ এফভি মাগফেরাতের কেবিন থেকে আরো দুই মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। আজ শনিবার (১৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার সময় নদী থেকে তুলে আনা জাহাজের কেবিন রুমে আটকা পড়া ওই দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তারা হলেন জাহাজের নাবিক মো. রাকিবের কাছে বেড়াতে আসা তার বাবা আবদুল মোতালেব (৬৫) ও জাহাজের গ্রিজার প্রদীপ চৌধুরী।
সদরঘাট নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. একরাম উল্লাহ সমকালকে বলেন, ‘জাহাজডুবি ঘটনায় শুক্রবার পর্যন্ত পাঁচ জনের মরদেহ উদ্ধার হলেও দুজন নিখোঁজ ছিলেন। শুক্রবার বিকেলে উদ্ধারকারী নৌযানের সহায়তায় ডুবে যাওয়া এফভি মাগফেরাত জাহাজটি টেনে নদীর তীরে সরিয়ে নিয়ে আসা হলে আজ নিখোঁজ দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহগুলো এখন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে স্বজনদের হাতে লাশগুলো তুলে দেওয়া হবে।’
ওসি একরাম উল্লাহ আরো বলেন, ‘জাহাজডুবির ঘটনায় নদী থেকে সাত জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। মোট মৃত্যু হয়েছে আট জনের।’
মঙ্গলবার রাতে এফবি মাগফেরাত নামের একটি মাছ ধরার জাহাজ সি রিসোর্স নামের ডক ইয়ার্ডে মেরামতের জন্য উঠানোর সময় পাখা খুলে যায়। ওই সময় জাহাজটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের বয়া ও অন্যান্য জাহাজের সাথে ধাক্কা লেগে ডুবে যায়। সেসময় ২১ নাবিকের মধ্যে ১৪ জন উঠে আসতে পারলেও সাত জন নিখোঁজ থাকেন। পরবর্তীতে কর্ণফুলী নদীর বিভিন্ন এলাকা থেকে লাশগুলো উদ্ধার হয়। অন্যদিকে ১৪ উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যায়। ফলে জাহাজডুবির ঘটনায় মোট নিহতের সংখ্যা আটে পৌঁছায়।
ডুবে যাওয়া জাহাজের মালিক পক্ষ র্যানকন ওশিয়ানা গ্রুপের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবদুল আদনান এ দুর্ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে বলেন, ‘নিহতের পরিবারকে লাশ দাফনের জন্য সাময়িকভাবে আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে। এছাড়াও এককালীন ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।’