ওসমানীর ডাক্তার রামেন্দ্রের সাথে যুবতীর যেভাবে পরিচয় এবং ধর্ষণ

দৈনিক সিলেট ডট কম
দৈনিকসিলেটডটকম: সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মানসিক চিকিৎসা বিভাগের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রামেন্দ্র কুমার সিংহ এর বিরুদ্ধে
এক যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঐ চিকিৎসক বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে যুবতীকে দীর্ঘ চার বছর ধরে সঙ্গে শারিরীক সর্ম্পক স্থাপন করেন। এতে যুবতী গর্ভবতী হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে সিলেট কোতোয়ালি থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। কোতোয়ালি থানাপুলিশ রবিবার সন্ধ্যায় ( ১৬ অক্টোবর) ওই চিকিৎসককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
যুবতী বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে জানান, ২০১৮ সালে তিনি যখন প্রথম ধর্ষণের শিকার হন তখন তিনি নবম শ্রেণীর ছাত্রী। তার স্মরণশক্তি কম ছিলো, পড়া মনে রাখতে পারতেন না। সে জন্য তিনি মানসিক চিকিৎসা বিভাগের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রামেন্দ্র কুমার সিংহ এর মেডিকেল রোডস্থ কাজলশাহ ল্যাবএইড লি. ডায়গনস্টিক সেন্টার চেম্বারে যান। এসময় তিনি নানা কথা বলে চেম্বারে আমাকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি লোকলজ্জায় আমি কাউকে জানাইনি।
পরবর্তিতে তিনি আমার সাথে সর্ম্পক গড়ে তোলেন। আমাকে বিয়ে করবেন বলে তিনি বহুবার শারিরীক সর্ম্পক স্থাপন করেন। কয়েকবার গর্ভপাতও করান।
নতুন করে আবার আমি অন্তস্বত্তা হয়ে পড়লে ১৬ অক্টোবর ডা. রামেন্দ্রের চেম্বারে যাই এবং বিয়ে করার জন্য চাপ দেই। এতে ডা. রামেন্দ্র উত্তেজিত হয়ে নিজেই পুলিশ কল করে এবং আমাকে বলে আমি নাকি মানসিক রোগী।
পুলিশ এসে আমার বক্তব্য শুনে এবং আমার মোবাইলে ধারণ করা অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি এবং কল লিস্ট দেখে আসল ঘটনা বুঝতে পারে। তখন ডা. রামেন্দ্রকে আটক করে নিয়ে যায়।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, অভিযোগকারী যুবতী ২০১৮ সাল থেকে সিলেটের এই সাইকিয়াট্রিস্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিচ্ছেন। একপর্যায়ে ওই যুবতীর প্রতি তিনি আসক্ত হয়ে পড়েন এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময় ভিকটিমের সঙ্গে শারিরীক সর্ম্পক স্থাপন করেন।