সারা দিনের নিরাপত্তায় ‘তিন কুল’ পাঠ

আহমাদ রাইদ
সারা দিনের নিরাপত্তায় তিন সময়ে ‘তিন কুল’ পড়ার কথা হাদিসে এসেছে। তিন কুল হলো—১. সুরা ইখলাস, ২. সুরা ফালাক ও ৩. সুরা নাস। আর তিন সময় হলো—১. ফজর ও মাগরিবের পর তিনবার করে। ২. জোহর, আসর ও ইশার পর একবার করে।
৩. রাতে শোয়ার আগে বিছানায় তিন কুল তিনবার করে পাঠ করবে।
পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ সালাতের পর সুন্নত আমল হলো, জোহর, আসর ও এশার সালাতের পর সুরা ইখলাসসহ সুরা ফালাক ও সুরা নাস একবার করে পাঠ করা। উকবাহ ইবনে আমির (রা.) থেকে বলেন, রাসুল (সা.) আমাকে প্রত্যেক সালাতের পর মুআওয়াজাত তথা আশ্রয় প্রার্থনার সুরাগুলো পাঠ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৫২৩)
ওই হাদিসের ব্যাখ্যায় ইবনে হাজার আসকালানি (রহ.) বলেন, ‘ওই হাদিসে মুআওয়াজাত তথা আশ্রয় প্রার্থনার সুরাগুলো দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, তিনটি সুরা। সুরা নাস ও ফালাকের সঙ্গে সুরা ইখলাসকেও শামিল করা হয়েছে ‘তাগলিব’ (আরবি ব্যাকরণরীতি)-এর ভিত্তিতে।
আর ফজর ও মাগরিব সালাতের পর অথবা সকাল বিকালে সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও সুরা নাস তিনবার করে পাঠ করা। একবার (সা.) আবদুল্লাহ ইবনে খুবাইব (রা.)-কে বলেন, ‘তুমি প্রতিদিন বিকেলে ও সকালে উপনীত হয়ে তিনবার করে সুরা কুল হুআল্লাহু আহাদ অর্থাৎ সুরা ইখলাস এবং মুআওবিজাতাইন অর্থাৎ সুরা ফালাক ও সুরা নাস পাঠ করবে, তাহলে তা তোমার প্রত্যেক বিষয়ের জন্য যথেষ্ট হবে। ’ (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৭৫)
ঘুমানোর আগে হাত দ্বারা মাসাহ করার কথা হাদিসে এসেছে। আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) যখন বিছানায় আসতেন, তখন তিনি তাঁর দুই হাতের তালুতে সুরা ইখলাস এবং মুআওব্বিজাতায়ন পড়ে ফুঁ দিতেন। তারপর উভয় তালু দ্বারা আপন চেহারা ও দুই হাত শরীর যত দূর পৌঁছায় মাসাহ করতেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৭৪৮)
প্রতি রাতে বিছানায় যাওয়ার প্রাক্কালে মহানবী (সা.) এই আমল তিনবার করতেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫০১৭) । অসুস্থ অবস্থায় যেকোনো সময় এ আমল করা যায়। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, যখনই নবী (সা.) অসুস্থ হতেন তখনই তিনি ‘সুরা মুআব্বিজাত’ পড়ে নিজের ওপর ফুঁ দিতেন। যখন রোগ কঠিন হয়ে গেল, তখন বরকত অর্জনের জন্য আমি এই সুরা পাঠ করে তাঁর হাত দিয়ে শরীর মাসাহ করিয়ে দিতাম। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫০১৬)