টি-টোয়েন্টিতে উইলিয়ামস-বার্লের ব্যাটে জিম্বাবুয়ের লড়াই

দৈনিকসিলেট ডেস্ক :
বাংলাদেশের বিপক্ষে উইলিয়ামসের ‘প্রথম’
১৭ রানে যখন ২ উইকেট হারিয়ে চাপে জিম্বাবুয়ে, তখন উইকেটে যান শন উইলিয়ামস। এরপর আরও ৩ উইকেট হারিয়েছে দল। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে জিম্বাবুয়ের জয়ের আশা বাঁচিয়ে রেখেছেন তিনি। উপহার দিয়েছেন দারুণ এক ফিফটি।
৩৭ বলের ইনিংসে চার মেরেছেন তিনি ৫টি। টি-টোয়েন্টিতে এটি উইলিয়ামসের দশম ফিফটি। বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম।
শেষ দুই ওভারে ২৬ রান চাই জিম্বাবুয়ের।
৩ ওভারে চাই ৪০
দারুণ ব্যাটিংয়ে জিম্বাবুয়েকে টানছেন শন উইলিয়ামস ও রায়ান বার্ল। তাদের জুটিতে এখনও টিকে আছে দলটির জয়ের আশা। এই জুটির প্রতিরোধ ভাঙার চেষ্টায় আছে বাংলাদেশ।
শেষ ৩ ওভারে জিম্বাবুয়ের চাই ৪০ রান। ৪৭ রানে খেলছেন উইলিয়ামস, ২৩ রানে বার্ল।
নিজের কোটার ৪ ওভার করে ফেলেছেন মুস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ। এক ওভার বাকি আরেক পেসার হাসান মাহমুদের।
তিনটি করে ওভার করেছেন সাকিব আল হাসান ও মোসাদ্দেক হোসেন। এখনও সৌম্য সরকারকে বোলিংয়ে আনেননি সাকিব।
ফিরেই তাসকিনের উইকেট
জমে উঠেছিল শন উইলিয়ামস ও রেজিস চাকাভার জুটি। তাদের প্রতিরোধ ভাঙতে তাসকিন আহমেদের হাতে বল তুলে দেন সাকিব আল হাসান। অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দেন এই পেসার। দ্বিতীয় স্পেলে বোলিংয়ে এসেই বিদায় করেন চাকাভাকে।
৩৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা জিম্বাবুয়েকে টানছিলেন উইলিয়ামস ও চাকাভা। দ্বাদশ ওভারে এসে তাদের ৩৩ বল স্থায়ী ৩৪ রানের জুটি ভাঙেন তাসকিন।
অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বলটি কোনোমতে যেন ব্যাটে খেলতে চেয়েছিলেন চাকাভা। কিন্তু ব্যাটে লাগাতে পারেননি ঠিকঠাক। বল ব্যাটে হালকা ছুঁয়ে জমা পড়ে কিপারের গ্লাভসে। উল্লাসে মাতেন তাসকিন।
১৯ বলে ১৫ রান করে ফেরেন চাকাভা। ম্যাচে এটি তাসকিনের তৃতীয় শিকার। প্রথম দুই ওভারে তিনি ফিরিয়েছিলেন ওয়েসলি মাধেভেরে ও ক্রেইগ উইলিয়ামসকে।
মাঝপথে নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ
ইনিংসের প্রথম অর্ধটা ভালোই হলো বাংলাদেশের। পাওয়ার প্লেতেই ৪ উইকেট নিয়ে তারা চেপে ধরেছে জিম্বাবুয়েকে। মাঝপথে তাই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশের হাতেই।
প্রথম ১০ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের রান ৪ উইকেটে ৬৪। শন উইলিয়ামস ২৬ রানে খেলছেন ৪টি চার মেরে। ১৪ বলে ১২ রান করে তাকে সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছেন রেজিস চাকাভা।
প্রথম ও তৃতীয় ওভারে বাংলাদেশকে উইকেট এনে দেন তাসকিন আহমেদ। পরে জোড়া শিকার ধরেন মুস্তাফিজুর রহমান। ৩৫ রানে ৪ উইকেট হারানো জিম্বাবুয়েকে টানছেন উইলিয়ামস ও চাকাভা।
শেষ ১০ ওভারে জিম্বাবুয়ের চাই ৮৭ রান।
মুস্তাফিজের জোড়া শিকার
নেদারল্যান্ডস ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে যে বাজে বোলিং করেছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান তা নয়। তবে এবারের বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচে উইকেটের দেখা পাননি এই পেসার। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আক্রমণে এসেই জোড়া শিকার ধরলেন তিনি। মিল্টন শুম্বার পর ফেরালেন প্রতিপক্ষের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ব্যাটসম্যান সিকান্দার রাজাকে।
পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে মুস্তাফিজের হাতে বল তুলে দেন সাকিব আল হাসান। দ্বিতীয় বলটি ছিল হার্ড লেংথে। বোলারের মাথার ওপর দিয়ে ওড়ানোর চেষ্টায় ব্যাটে-বলে করতে পারেননি শুম্বা। মিড-অফ থেকে মিড-অনের দিকে অনেকটা দৌড়ে এসে ঝাঁপিয়ে বল মুঠোয় জমান সাকিব।
১ চারে ১৫ বলে ৮ রান করেন শুম্বা।
দুই বল পর মুস্তাফিজ ফিরিয়ে দেন রাজাকে। পুল করার চেষ্টায় স্কয়ার লেগে আফিফ হোসেনকে সহজ ক্যাচ দেন ছন্দে থাকা এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।
পাওয়ার প্লেতে দারুণ বোলিং করেছে বাংলাদেশ। ৬ ওভার শেষে ৩৬ রান দিয়ে তুলে নিয়েছে জিম্বাবুয়ের ৪ উইকেট।
উইকেটে রেজিস চাকাভার সঙ্গী শন উইলিয়ামস।
তাসকিনের আরেকটি
চার হজম করলেই যেন উইকেট নেওয়ার নেশায় চেপে বসে তাসকিন আহমেদকে। অন্তত জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পরপর দুই ওভারে এভাবেই শিকার ধরলেন বাংলাদেশের এই পেসার।
তাকে চার মেরে পরের বলেই আউট হয়েছিলেন ওয়েসলি মাধেভেরে। এবার ফিরলেন ক্রেইগ আরভিনও।
তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে আসা তাসকিনকে তৃতীয় বলে লং-অফ দিয়ে চার মারেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক। পরের বলটি ছিল শরীর থেকে অনেক দূরে, ওয়াইড লাইনের কাছে। জায়গায় দাঁড়িয়ে ব্যাট চালিয়ে দেন আরভিন। বল ব্যাটের কানা নিয়ে জমা পড়ে নুরুল হাসান সোহানের গ্লাভসে।
২ চারে ৭ বলে ৮ চার করে ফিরলেন আরভিন।
৩ ওভারে জিম্বাবুয়ের রান ২ উইকেটে ১৭। উইকেটে মিল্টন শুম্বার সঙ্গী শন উইলিয়ামস।
শুরুতেই তাসকিনের ছোবল
তাসকিন আহমেদের হাত ধরে প্রথম ওভারেই সাফল্য পেল বাংলাদেশ। টানা তিন ম্যাচে নিজের প্রথম ওভারে উইকেট নিলেন এই পেসার। এবার তার শিকার ওয়েসলি মাধেভেরে।
ওভারের দ্বিতীয় বলে কাভার দিয়ে তাসকিনকে চার মারেন মাধেভেরে। পরের বলটি অফ সাইডে ওড়াতে চেয়েছিলেন ব্যাটসম্যান। কিন্তু টাইমিংয়ে গড়বড় করে ধরা পড়েন থার্ডম্যানে মুস্তাফিজুর রহমানের হাতে।
৩ বলে ১ চারে ৪ রান করে বিদায় নিলেন মাধেভেরে।
প্রথম ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের রান ১ উইকেটে ৫ রান। উইকেটে অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিনের সঙ্গে মিল্টন শুম্বা।
১৫০ রানের পুঁজি
প্রথম ১০ ওভারে রান ছিল ৬৩, শেষ ১০ ওভারে এলো ৮৭। কোনোমতে হলো দেড়শ রান।
সাকিব আল হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্তর জুটিতে আরও বড় সংগ্রহের ভিতও পেয়েছিল বাংলাদেশ। পরের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ততদূর যেতে পারেনি তারা।
জিম্বাবুয়ের বোলিং ছিল দারুণ। তবে ফিল্ডিং মোটেও ভালো হয়নি। ক্যাচ ছেড়েছে, রান আউটের সুযোগ হাতছাড়া করেছে। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৫০/৭ (শান্ত ৭১, সৌম্য ০, লিটন ১৪, সাকিব ২৩, আফিফ ২৯, মোসাদ্দেক ৭, সোহান ১, ইয়াসির ১*; এনগারাভা ৪-০-২৪-২, মুজারাবানি ২-০-১৩-২, চাটারা ৩-০-১৮-০, রাজা ৪-০-৩৫-১, ইভান্স ৩-০-৩২-০, মাধেভেরে ২-০-১৮-০, উইলিয়ামস ২-০-১০-১)
শেষ ওভারে ৩ উইকেট
রিচার্ড এনগারাভার করা শেষ ওভারে ফিরলেন মোসাদ্দেক হোসেন, নুরুল হাসান সোহান ও আফিফ হোসেন। দ্বিতীয় বলে পয়েন্টে ধরা পড়েন মোসাদ্দেক। আফিফ হোসেন জীবন পাওয়ার পর রান আউট হন নুরুল হাসান সোহান।
ইনিংসের শেষ বলে এলবিডব্লিউ হন আফিফ। ওভার থেকে আসে কেবল ৭ রান। বাংলাদেশ ছুঁতে পারে ১৫০।
জীবন পেলেন আফিফ
আরেকটি উইকেট হারাতে পারত বাংলাদেশ। আর সিকান্দার রাজার নামের পাশে যুক্ত হতো আরও একটি উইকেট। কিন্তু বাউন্ডারিতে আফিফ হোসেনের সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেন ফিল্ডার।
সহজেই ছক্কায় ওড়ানো যায় এমন একটি ফুলটস পেয়েছিলেন আফিফ। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। ওড়ানোর চেষ্টা করেন মিডউইকেট দিয়ে। টাইমিং হয়নি ঠিকঠাক। বল যায় ডিপ মিডউইকেটে থাকা ব্র্যাড ইভান্সের কাছে। কিন্তু বল হাতে জমাতে পারেননি ফিল্ডার।
আফিফ তখন ১৭ রানে খেলছিলেন। বেঁচে গিয়ে পরে মিডউইকেট দিয়েই ওই ওভারের পঞ্চম বলে রাজাকে ছক্কায় ওড়ান আফিফ।
১৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ১৪৩।
ফিফটির পর ফিরলেন শান্ত
টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটির পর বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। বিদায় নিলেন এই ওপেনার আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের চেষ্টায়।
পঞ্চাশ ছুঁয়ে দ্রুত রান তোলায় মনোযোগ দেন শান্ত। ব্র্যাড ইভান্স দুই চারের সঙ্গে ওড়ান তিনি এক ছক্কায়। সিকান্দার রাজা মিড-অফে ফিল্ডার রেখে বোলিং করছিলেন। শান্ত সেই সুযোগই কাজে লাগাতে চাইলেন।
মিড-অফ ফিল্ডারের মাথার ওপর দিয়ে খেলার চেষ্টা করে ব্যাট-বলে ঠিকমতো করতে পারেননি বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। মিড-অফেই ধরা পড়েন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিনের হাতে।
১ ছক্কা ও ৭ চারে ৫৫ বলে ৭১ রান করেন শান্ত।
১৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ১২৬। উইকেটে আফিফ হোসেনের সঙ্গী মোসাদ্দেক হোসেন।
শান্তর প্রথম ফিফটি
সিকান্দার রাজার বলে সিঙ্গেল নিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। একটি অপেক্ষা ফুরাল বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের। টি-টোয়েন্টিতে পেলেন প্রথম পঞ্চাশ, ৪৫ বলে।
চলতি আসরে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের এটাই প্রথম পঞ্চাশ।
টি-টোয়েন্টিতে ১১ ম্যাচ পর বাংলাদেশের কোনো ওপেনারের ফিফটি করলেন। গত ৩১ জুলাই ২০২২, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই ৫৬ করছিলেন লিটন দাস।
সাকিবের বিদায়ে ভাঙল জুটি
দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে বিচ্ছিন্ন করতে পারছিল না জিম্বাবুয়ে। উইকেটের আশায় শেষ চেষ্টা হিসেবে শন উইলিয়ামসকে আক্রমণে আনলেন ক্রইগ আরভিন। সাকিব আল হাসানকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন বাঁহাতি স্পিনারই।
স্লগ করে উইলিয়ামসকে ছক্কায় ওড়াতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। টাইমিং করতে পারেননি। বেশ উঁচুতে ওঠে যাওয়া ক্যাচ নেন ব্লেসিং মুজারাবানি। ভাঙে ৪৪ বলে গড়া ৫৪ রানের জুটি।
২০ বলে এক চারে সাকিব করেন ২৩। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান আফিফ হোসেন।
শান্ত-সাকিবের জুটিতে পঞ্চাশ
১০ ওভারের বিরতির পর রানের গতি বাড়ানোর দিকে মন দিয়েছেন সাকিব আল হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্ত। তাদের ব্যাটে ইনিংসে নিজেদের প্রথম পঞ্চাশ রানের জুটি পেয়েছে বাংলাদেশ, ৩৬ বলে।
জুটির রান পঞ্চাশ ছোঁয়ার পথে নিজের আগের সেরা ৪০ পেরিয়ে এসেছে শান্ত। ১৫ ম্যাচের ক্যারিয়ারে প্রথম ফিফটির আশা জাগিয়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
১২ ওভারে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ৮৫।
মাঝপথে রান রেট কেবল ৬
উইকেট খুব বেশি যায়নি, তবে দ্রুত রানও তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। তাই শেষ ১০ ওভারের জন্য অনেক কাজই বাকি।
প্রথম ১০ ওভারে সৌম্য সরকার ও লিটন দাসকে হারিয়ে কেবল ৬৩ রান করেছে বাংলাদেশ। ১৫ বলে এক চারে ১৭ রানে ব্যাট করছেন সাকিব আল হাসান। ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত তিন চারে ৩১ বলে খেলছেন ৩১ রানে।
তৃতীয় উইকেটে এই দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ২৭ বলে গড়েছেন ৩১ রানের জুটি। তাদের সামনে এখনও অনেক কাজ বাকি।
স্কুপের চেষ্টায় শেষ লিটন
পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ফিরলেন লিটন দাস। ব্লেসিং মুজারাবানির বলে স্কুপ করার চেষ্টায় শর্ট থার্ড ম্যানে ধরা পড়লেন এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান।
খুব একটা দ্রুত রান তুলতে পারছিলেন না নাজমুল হোসেন শান্ত ও লিটন। ২৩ বলে তাদের জুটির রান কেবল ২২।
রানের গতি বাড়াতেই হয়তো ঝুঁকি নেন লিটন। তাকে নড়তে দেখেই অফ স্টাম্পের আরও বাইরে ডেলিভারি দেন মুজারাবানি। তবুও স্কুপের চেষ্টা করেন ব্যাটসম্যান। ঠিক মতো খেলতে পারেননি, সহজ ক্যাচ যায় টেন্ডাই চাটারার কাছে।
১২ বলে ৩ চারে ১৪ রান করেন লিটন।
পাওয়ার প্লেতে দুটি উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। ৬ ওভারে করতে পেরেছে কেবল ৩২ রান। ক্রিজে শান্তর সঙ্গী সাকিব আল হাসান।
শূন্যতেই শেষ সৌম্য
দ্বিতীয় ওভারেই ভাঙল বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি। শূন্য রানেই ফিরলেন সৌম্য সরকার।
ব্লেসিং মুজারাবানির অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে বেরিয়ে যাওয়া বলে কিপারের গ্লাভসে ধরা পড়েন সৌম্য। দ্বিধা নিয়ে পুশ করার চেষ্টায় সফল হননি বাঁহাতি এই ওপেনার। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে রেজিস চাকাভার কাছে যায় সহজ ক্যাচ।
টি-টোয়েন্টিতে এ নিয়ে ১১ বার শূন্যতে আউট হলেন সৌম্য। তার চেয়ে বেশি ১২ বার আউট হয়েছেন কেবল কেভিন ও’ব্রায়েন।
ক্রিজে গিয়ে প্রথম বলেই চার মেরে রানের খাতা খোলেন লিটন দাস। নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট থেকে এরই মধ্যে এসেছে দুটি চার।
২ ওভারে বাংলাদেশের রান ১ উইকেটে ১৪।
জিম্বাবুয়ে দলে এক পরবির্তন
পাকিস্তানকে হারানো দল থেকে একটি পরিবর্তন এনেছে জিম্বাবুয়ে। পেস বোলিং অলরাউন্ডার লুক জঙ্গুয়ের জায়গায় দলে এসেছেন টেন্ডাই চাটারা।
জিম্বাবুয়ে একাদশ: ক্রেইগ আরভিন (অধিনায়ক), রায়ান বার্ল, রেজিস চাকাভা (উইকেটরক্ষক), ব্র্যাডলি ইভান্স, টেন্ডাই চাটারা, ওয়েসলি মাধেভেরে, ব্লেসিং মুজারাবানি, রিচার্ড এনগারাভা, সিকান্দার রাজা, মিল্টন শুম্বা, শন উইলিয়ামস।
মিরাজের জায়গায় ফিরলেন ইয়াসির
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শতরানে হারা ম্যাচ থেকে একটি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। একাদশে ফিরেছেন ইয়াসির আলি চৌধুরি। তার জায়গাতেই সবশেষ ম্যাচে খেলেছিলেন অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ।
বাংলাদেশ একাদশ: সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, সৌম্য সরকার, ইয়াসির আলি চৌধুরি, নুরুল হাসান সোহান (উইকেটরক্ষক), তাসকিন আহমেদ, লিটন দাস, হাসান মাহমুদ, নাজমুল হোসেন শান্ত।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
টস জিতলেন সাকিব আল হাসান, বাংলাদেশ অধিনায়ক নিলেন ব্যাটিং।
“উইকেট খুব শুষ্ক মনে হচ্ছে। আগে ব্যাট করে স্কোরবোর্ডে রান করে রেখে (ডিফেন্ড করতে) স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি আমরা। হ্যাঁ দুই দলই একে অপরকে বেশ ভালোভাবে চেনে। দেখার বিষয় মাঠে কারা ভালো পারফর্ম করতে পারে।”
“আমদেরকে সেই (দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হার) ম্যাচটি ভুলে যেতে হবে। আজকে দুই দলের জন্যই খুব গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জেতার জন্য আমাদেরকে সেরা খেলাটা খেলতে হবে। আগের ম্যাচে তারা পাকিস্তানের বিপক্ষে দারুণ খেলেছে। তো তারা এগিয়েই থাকবে। আমাদেরকে সেরা ক্রিকেট খেলতে হবে।”
জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন জানালেন, টস জিতলে ব্যাটিং নিতেন তিনিও।
“উইকেট দেখে মনে হচ্ছে সারাদিনেও এর চরিত্র বদলাবে না। তো যেটাই পেতাম আমাদের সমস্যা ছিল না। তবে আগে ব্যাটিংই আমাদের অগ্রাধিকার পেত।”
টি-টোয়েন্টির জন্য আদর্শ পিচ
পিচ রিপোর্টের সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক অধিনায়ক কার্লোস ব্র্যাথওয়েট বললেন, টি-টোয়েন্টির জন্য আদর্শ উইকেট পেয়েছে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে।
“হালকা গরম এবং দারুণ আবহাওয়া। টি-টোয়েন্টি ম্যাচের জন্য আদর্শ কন্ডিশন। গুড লেংথ থেকে কিছু ক্র্যাক পাওয়া যাবে। স্পিনার বা পেসাররা সেটি লক্ষ্য করে বোলিং করলে কাঙ্ক্ষিত ফল পেতে পারেন। উইকেটের সোজা ও দুই পাশের বাউন্ডারি বেশ লম্বা, ৭৬ থেকে ৮২ মিটার পর্যন্ত। ডানহাতির জন্য ডিপ থার্ড ম্যানের বাউন্ডারি সবচেয়ে ছোট, ৬৩ মিটার।
সর্বোচ্চটা দিয়ে বাংলাদেশকে হারাতে প্রস্তুত জিম্বাবুয়ে
আত্মবিশ্বাসে টইটুম্বুর এখন জিম্বাবুয়ে শিবিরে। স্রেফ ১৩০ রানের পুঁজি নিয়ে তারা পাকিস্তানের মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়ে দিয়েছে। নাটকীয় ম্যাচে তুলে নিয়েছে ১ রানের অবিস্মরণীয় জয়। বাংলাদেশের বিপক্ষে লড়াইয়ে নামার আগে নিজেদের ওপর আস্থা রাখছে আফ্রিকার দলটি।
তবে টি-টোয়েন্টি সংস্করণ যে চোখের পলকে রূপ বদলায় ভালো করেই জানা জিম্বাবুয়ের। দলটির অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন তাই, মাটিতেই পা রাখছেন। তার মতে, বাংলাদেশকে হারাতে হলে খেলতে হবে নিজেদের সেরাটা দিয়ে।
জিম্বাবুয়েকে সম্মান করেই জয়ের ছক
টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে লড়াইয়ে অনেকটা এগিয়ে বাংলাদেশ। ১৯ ম্যাচের মধ্যে ১২টিই জিতেছে তারা। কিন্তু এই সংস্করণে বাংলাদেশের এখন যেই হাল, তাতে ছন্দে থাকা জিম্বাবুয়েকে নিয়ে আলাদা করে ভাবতেই হচ্ছে সাকিব আল হাসানদের।
জিম্বাবুয়েতে সবশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-১ ব্যবধানে হেরে এসেছে বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে দারুণ পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে চলছে আফ্রিকার দলটি। প্রাথমিক পর্ব পেরিয়ে সুপার টুয়েলভে জায়গা করে নেওয়া দলটি হারিয়ে দিয়েছে টুর্নামেন্টের ফেভারিট দলগুলোর একটি পাকিস্তানকে।
নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে জয় দিয়ে মূল পর্ব শুরু করা বাংলাদেশ নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে তো লড়াই-ই করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে। যেন অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে তারা।
তাই বাস্তবিক দিক থেকে এই মুহূর্তে বাংলাদেশ থেকে বেশ এগিয়ে জিম্বাবুয়ে। সেই বাস্তবতাকে মেনে নিয়েই জিম্বাবুয়েকের বিপক্ষে ছক কষার কথা বলেছে বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপে প্রথম লড়াই
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে দ্বৈরথ দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে চলছে। প্রায় প্রতি বছরই কোনো না কোনো সিরিজে দেখা হয় দুই দলের। কিন্তু অবাক হলেও সত্যি, এখন পর্যন্ত কোনো সংস্করণের বিশ্বকাপেই মুখোমুখি হয়নি তারা! এবার সেই অপেক্ষারও অবসান হতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টির চলতি বৈশ্বিক আসর দিয়ে।
অস্ট্রেলিয়ার ব্রিজবেনে রোববার মাঠের লড়াইয়ে নামবে দল দুটি। বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টায় শুরু হবে খেলা।
১৯৯৭ সালে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে, প্রেসিডেন্ট কাপে। এরপর থেকে নিয়মিত মাঠের লড়াইয়ে পরস্পরের বিপক্ষে নামতে দেখা যায় তাদের। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই প্রথম টেস্ট জিতেছিল বাংলাদেশ।
টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক তো হয় দুই দলের একই ম্যাচে। ২০০৬ সালে ওই ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে এই সংস্করণে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত ১৯ বার দেখা হয়েছে তাদের ২০ ওভারের ক্রিকেটে। আর ওয়ানডে খেলেছে তারা ৮১টি।