অনাবাদি জমিতে চোখ জুড়ানো ফল বাগান

দৈনিকসিলেট ডেস্ক :
সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ-মৌলভীবাজার সড়কের ফরিদপুর নয়া বাজার থেকে পূর্ব দিকে সড়ক দিয়ে এগোতে থাকলে সবুজের সমারোহ যে কাউকে হাতছানি দেবে। ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মাইজগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে যাওয়ার পথে বা পাশে টিলাজুড়ে গড়ে ওঠা আমিরুন নেছা মিশ্র ফল বাগানটি দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। ৫০ বছর ধরে অনাবাদি পড়ে থাকা দেড় একর জমি পরিকল্পিত আবাদের আওতায় এনে তাঁর মায়ের নামে বাগানটি গড়ে তুলেছেন ফরিদপুর বড়বাড়ির কৃষক আমিনুল ইসলাম জালাল।
২০১৯ সালে শখের বশে দেড় একর পরিত্যক্ত জমিতে আম, কাঁঠাল, লিচু, মালটা, আনারস, আমড়া, লটকান, কলা, পেয়ারা, আদা লেবু, কাগজি লেবু, জারা লেবু ও সুপারি চাষ করে ভালো ফলনই পাচ্ছেন জালাল। প্রথম বছর বাগানে বিভিন্ন জাতের লেবু ধরলে করোনার সময়ে তাঁর বাগানের উৎপাদিত লেবু আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে উপহার হিসেবে বিলিয়ে দেওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে লেবু বিক্রি করতে পারেননি। এ বছর শুধু আনারসই বিক্রি করেছেন এক লাখ টাকার। তাঁর আশা, আগামী ৩-৪ বছরের মধ্যে ফল বাগানটি বাণিজ্যিকভাবে পুরোপুরি উৎপাদনক্ষম হয়ে উঠবে।
তরুণদের বাড়ির আঙিনা বা আশপাশের জমি অনাবাদি ফেলে না রাখার পরামর্শ দিয়ে জালাল বলেন, পরিত্যক্ত অনাবাদি জমিতে ফল বাগান করে তিনি লাভবান হয়েছেন। অনেকের বাড়ির পাশে পতিত জমি রয়েছে, সেখানে ফল বা সবজি করে যে কেউ লাভবান হতে পারেন। এতে আর্থিকভাবে লাভবান বা বেকারত্ব ঘোচানোর পাশাপাশি সবার পুষ্টি চাহিদা মিটবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুব্রত দেবনাথ বলেন, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় অনাবাদি ও চাষযোগ্য জমি পরিকল্পিতভাবে চাষাবাদের আওতায় আনা হলে বছরে অতিরিক্ত খাদ্যশস্য ও ফলফলাদি উৎপাদন করা সম্ভব, যা দেশের খাদ্য ও ফলের ঘাটতি পূরণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে। এতে কৃষক লাভবান হওয়ার পাশাপাশি খাদ্য ও ফল উৎপাদনে বেকার যুবক ও কৃষিশ্রমিকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।