ঘোষগাঁও সেতুর সংযোগ সড়ক ধস, বড় দূর্ঘটনার আশঙ্কা

দৈনিকসিলেট ডটকম :
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর-বেগমপুর সড়কের নলজুর নদীর ঘোষগাঁও সেতুর সংযোগ সড়ক ধস দেখা দিয়েছে। এতে ঝুঁকি নিয়ে এই সেতু দিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। গত কয়েক দিনের এ্যাপ্রোচের পূর্ব পাশে ধস দেখা দেওয়ায় সেতুটির এ্যাপ্রোচ এলাকায় ভয়ানক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্র জানায়, ২০১৩ সালে ১৩ কোটি টাকা ব্যায়ে ১ শত ৩৯ দশমিক ১৫ মিটার দৈর্ঘ্য’র গার্ডার সেতুটি নির্মাণ করা হয়। সেতুটির এ্যাপ্রোচের পূর্ব প্রায় ৩০ ফুট জায়গা জুড়ে মাটি ধসে গিয়েছে সিএনজি অটোরিক্সা, টমটম, মোটর সাইকেল, রিক্সা এবং লোকজন আতংকিত অবস্থায় যাতায়াত করছেন। সেতুটি নির্মিত হওয়ায় জগন্নাথপুর উপজেলার দক্ষিনাঞ্চল আশারকান্দি, পাইলগাঁও ও রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নীত হওয়ার পাশাপাশি সুনামগঞ্জ জেলা শহর থেকে এ সড়ক পথের ঘোষগাঁও সেতু দিয়ে ওসমানী নগর উপজেলার বেগমপুর হয়ে রাজধানী ঢাকায় যাতায়াত সহজ হয়। ঘোষগাঁও সেতুটি নির্মিত হওয়ার পর জনসাধারণ উপকৃত হলেও সেতুটির পূর্বপাড়ের এ্যাপ্রোচের মাটি ধসে নদী গর্ভে বিলীন হওয়ায় মালামাল বহনকারী যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। এ্যাপ্রোচের ঐ স্থানটি বিপদজনক হওয়ায় প্রতিনিয়ত সিএনজি অটোরিক্সা, টমটমসহ বিভিন্ন প্রকারের যানবাহন দুর্ঘটনায় কবলিত হয়ে আসছে।
স্থানীয় ঘোষগাঁও গ্রামের মুজিবুর রহমান সহ আরও অনেকেই জানান, ঘোষগাঁও সেতুটি নির্মিত হওয়ায় এ অঞ্চলের জনসাধারনের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছে। সেতুটির এ্যাপ্রোচ ধ্বসে যাওয়ায় এলজিইডি কর্তৃক ইতোমধ্যে কয়েক বার সংস্কার কাজ শুরু করেছেন কিন্তু স্থায় সমাধান হয় নাই। তবে নদী ভাঙ্গনের ভয়াবহতার কারনে সেতুটির এ্যাপ্রোচ এলাকা বিপদজনক অবস্থায় রয়েছে। অতি দ্রুত যানচলাচল সচল রাখার স্বার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশলী অধিদপ্ততর (এলজিইডি) জগন্নাথপুর উপজেলার কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন জানান, আমরা এক বার সংস্কার করেছি। আবার আজ রাতে থেকে কাজ শুরু করার জন্য ভারি যানবাহন বন্ধ করা হবে। আগামী কাল থেকে কাজ শুরু করা হবে। স্থায়ী সমাধানের জন্য আমরা একটি কালভার্ট এর জন্য প্রস্তাব দিয়েছি। আশা করি আগামীতে স্থায়ী সমাধান করতে পারবো। সুত্র: যায়য়ায়দিন