বিএনপির গণসমাবেশ, কানায় কানায় পূর্ণ সিলেট আলিয়ার মাঠ

শাহীন আহমেদ :
সিলেটে আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠিতব্য বিএনপি বিভাগীয় গণসমাবেশে যোগ দিয়েছেন হাজার হাজার নেতাকর্মীরা। তাদের উপস্থিতিতে সমাবেশস্থল সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে উঠেছে। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হচ্ছে সমাবেশস্থল ও আশপাশের এলাকা। তাদের স্লোগান দিচ্ছেন সমাবেশে আশা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা।
শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার মাঠ ঘুরে দেখা গেছে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা নেতাকর্মীরা ভোগান্তি করে সমাবেশে এলেও তাদের চোখেমুখে আনন্দ উল্লাস লক্ষ্য করা গেছে। তারা হাসিমুখে ‘বিএনপি, বিএনপি, খালেদা, খালেদা, জিয়া, জিয়া’ স্লোগান দিতে দেখা গেছে। তাদের স্লোগানে আশপাশের এলাকা প্রকম্পিত হয়ে উঠছে।
আজ শুক্রবার বিকেল থেকে বিপুল সংখ্যক বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্থান থেকে সমাবেশস্থলে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আসছেন। তাদের কণ্ঠে সরকার বিরোধী নানা স্লোগান দিতে দেখা দিয়েছে। সময় যতো যাচ্ছে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপস্থিতি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
প্রসঙ্গত- বিএনপি চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, সংসদ বিলুপ্ত ও সরকারের পদত্যাগসহ বিভিন্ন দাবিতে বিভিন্ন বিভাগে বিএনপি বিভাগীয় সমাবেশ করছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি বিভাগ ও ফরিদপুর জেলায় গণসমাবেশ করেছে দলটি। তারই ন্যায় সিলেটেও আগামী শনিবার গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে দলটি।
এদিন সিলেট সরকারি আলিয়া মাঠে অনুষ্ঠিতব্য গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমঙ্গীর।
শুক্রবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় মাঠের এক পাশে তৈরি করা হয়েছে মঞ্চ তৈরি। মাঠে চলছে মাইক টানানো হয়েছে এবং মাঠের দুই পাশে দুটি ‘বড় পর্দা’ লাগানো হয়েছে। মাঠে হাজারও বিভিন্ন স্থান থেকে আসা বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত হয়েছেন। বেশকিছু নেতাকর্মী একেকজন একেক দায়িত্ব পালন করছেন। প্রত্যেকেই আছেন ফুরফুরে মেজাজে।
মঞ্চের তিন পাশে নির্মাণ করা হয়েছে বিভাগের বিভিন্ন এলাকা নেতাদের উদ্যোগে ক্যাম্প। ক্যাম্পে ক্যাম্পে চলছে রান্না ও খাবারে আয়োজন। ক্যাম্পগুলোতে মওজুদ করে রাখা হয়েছে চালের বস্তা, তেল ও রান্নার সামগ্রী। কয়েকজন নারীকে পেঁয়াজ, রসুন, আদা, মরিচ কাটতে দেখা যায়। প্রতিটি ক্যাম্পেই বড় বড় ডেকচিতে হচ্ছে রান্নাবান্না।
জুম্মার নামাজের পর প্রতিটি ক্যাম্পে খাবার পরিবেশন করা হয়। প্রত্যেক ক্যাম্পেই নিজেদের মানুষ ছাড়া অন্যান্য নেতাকর্মীদেরও খাবার দেওয়া হয়।
এছাড়াও মাঠের প্রবেশমুখে ‘ডা. জোবায়দা রহমান ফ্রি ফুড ক্যাম্প’। এ ক্যাম্প থেকে সমাবেশস্থলে আসা নেতাকর্মীদের পানি ও শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।