বিজয় দিবসের প্রস্তুতিমূলক সভায় উপজেলার ছয় ইউপি চেয়ারম্যানই অনুপস্থিত

জামালগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি :
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে মহান বিজয় দিবসের প্রস্তুতিমূলক সভাতে উপস্থিত ছিলেন না স্থাণীয় সরকারের অধীনে উপজেলার ৬ ইউনিয়নের ১ জন চেয়ারম্যানও। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা সম্মলেন কক্ষে মহান বিজয় দিবসের প্রস্তুতিমূলক সভার আয়োজন করেন উপজেলা প্রশাসন, এতে ৬ ইউপি চেয়ারম্যানের সবকটি আসনই খালি থাকায় অন্য দপ্তরের লোকজনে বসে পূরন করতে হয়েছে।
জানা যায়, প্রতি বছরের ন্যায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয় ও মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের উদ্যোগে ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস, ১৮ ডিসেম্বর আর্ন্তজাতিক অভিবাসী দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এবং সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের লক্ষে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ সারা দেশের মাঠ পর্যায়ের সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগনকে নির্দেশনা প্রদান করেন। কিন্তু এমন মহান দিবসের গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতিমূলক সভায় উপজেলার ৬জন ইউপি চেয়ারম্যানের একজনও উপস্থিত ছিলেন না, এমনকি তাদের পরিবর্তে একজন প্যানেল চেয়ারম্যানও উপস্থিত থাকেননি। এতে করে প্রস্তুতি সভায় বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমলোচনার জম্ম দেয়।
নিয়মানুযায়ী উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকগণ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক ব্যক্তি, সুশীল সমাজের ব্যাক্তিবর্গসহ ও গণমাধ্যমকর্মীগনের উপস্থিতিতে প্রস্ততিমুলক সভার কথা থাকলেও, উপস্থিত ছিলেন না উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন পরিষদের একজন চেয়ারম্যানও। এতে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম নবী হোসেন বলেন, আজ বিজয়ের মাসের প্রথম দিন। এত সুন্দর একটি আয়োজনের মধ্যে উপজেলার ৬ ইউনিয়ন পরিষদের একজন চেয়ারম্যানও না থাকাতে অত্যান্ত দূঃখজনক ও লজ্জার।
এব্যাপারে জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ কামাল হোসেন বলেন- আজ বিজয় দিবসের প্রস্তুতিমুলক সভা এটা আমি জানিনা। অথবা আমাকে চিঠি দিয়েও জানানো হয়নি। যদি চিঠি দিত তাহলে নিশ্চয়ই আমার টেবিলে অথবা আমার সচিব আমাকে দিত।
সাবেক সহকারি ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সফিকুল ইসলাম কলমদর জানান-স্বাধীন দেশে বিজয় দিবসের প্রস্তুতি সভায় স্থাণীয় সরকারের উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের একটি চেয়ারম্যানও উপস্থিত থাকতে পারলো না। এটা অত্যন্ত দূঃখজনক ও বেদনাদায়ক। এটা দেশের প্রতি অবহেলা ও অশ্রদ্ধার শামীল।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত দেব জানান-আমার প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল চেয়ারম্যানদেরকে চিঠির মাধ্যমে জানিয়েছি। কেন তাঁরা উপস্থিত হয়নি সেটা এখনও জানা যায়নি। তবে আমরা উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসন বসে স্থাণীয় সরকার নীতিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।