জামালগঞ্জে সরকারি ভূমির গাছ কেটে জায়গা দখল, অভিযোগ দায়ের

মোঃ বায়েজীদ বিন ওয়াহিদ জামালগঞ্জ প্রতিনিধি :
সরকারি ভূমির গাছ কেটে জমি দখলে পায়তাঁরা, ইউএনও বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছে গ্রামবাসী। অভিযোগটি উঠেছে আঃ ছালাম নামের এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত আঃ ছালাম সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার ফেনারবাঁক ইউনিয়নের নাজিমনগর গ্রামের মৃত ওয়াফিজ আলীর ছেলে।
গতকাল উক্ত গ্রামের ৫৯ জনের স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র দায়ের করেন এলাকাবাসী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ফেনারবাঁক ইউনিয়নের নাজিমনগর গ্রামের অদূরেই প্রায় ৫ থেকে ৬ একর ভূমির উপর একটি হিজল-করচ বাগ রয়েছে। যা দেড় যুগেরও বেশী সময় পূর্বে হাওরাঞ্চলকে পরিবেশ বিপর্যয়ের হাত থেকে উদ্বার করতে পরিবেশবাদী সংস্থা সেন্টার ফর ন্যাচারাল রিসোর্স স্ট্যাডিজ (সিএনআরএস) রোপন করেছিল।
যেখানে সরকারি খাস ভূমি, গ্রামের এজমালিসহ মসজিদের নামে চারণভূমি রয়েছে। দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত এই বাগ ও তার আশেপাশের ভূমিতে গ্রামের সকল গবাদিপশুর গো খাদ্যের চারণ ভূমি হিসেবে ব্যবহৃিত হয়ে আসছে। কিন্তু প্রতিদিন গরু নিয়ে যাওয়ার ফলে গত একমাস যাবত রাখাল ও এলাকাবাসী খেয়াল করছেন ক্রমান্বয়ে উক্ত হিজল-করচ বাগটির গাছ কেটে সাবাড় করে ফেলা হচ্ছে। পরবর্তীতে গ্রামবাসী খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন অভিযুক্ত ব্যাক্তি আঃ ছালামের নাম। গাছ কাটা প্রাকৃতিক পরিবেশ বিনষ্ট, আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ জানিয়ে ও তার গাছ কাটার উদ্দেশ্য জানতে চাইলে গ্রামবাসীকে হুমকি ধামকি দেন। এছাড়া রাখালরা গরু নিয়ে সেই বাগে গেলে তাদেরকে মারপিট করেন। হাতে সবসময় একটি দাঁড়ালো দা থাকে বলেও উল্লেখ করেন অভিযোগে। অভিযোগে আরো জানাযায়, সবশেষ গত ১৯ ডিসেম্বর নাজিমনগর গ্রামের ছাইদুল ইসলামের পুত্র মোবাশ্বির আলী (১৪) গরু নিয়ে বাগে গেলে অভিযুক্ত আঃ ছালাম মোবাশ্বিরকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন। বর্তমানে এলাকাতে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। যে কোন সময় ঘটতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত দূর্ঘটনা।
এদিকে সরেজমিন ঘুরে দেখাযায়, বাগের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রায় শতাধিক গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এছাড়া আঃ ছালাম বাগের ভেতর একটি ছোট ঘর নির্মাণ করেছে। প্রতিবেদক ঘরটি তালা মারা পেলেও এলাকাবাসী বলছে আঃ ছালাম এই ঘরটি তুলেছে। এবং এই বাগের জায়গা তার বলেও দাবি করছেন।
এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে সরকারি ভূমি রক্ষা ও গবাদিপশু চারণে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আঃ ছালামের ফোন নাম্বারে যোগাযোগ করলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় শুনে মোবাইলের সংযোগটি কেটে দেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত দেব জানান, অভিযোগটি পেয়েছি।তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।