শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনায় বাংলাদেশ পুরো বিশ্বে প্রসংসিত হচ্ছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

দৈনিকসিলেটডটকম
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ.কে. আব্দুল মোমেন এমপি বলেছেন, শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনায় বাংলাদেশ পুরো বিশ্বে প্রসংসিত হচ্ছে। তথ্য প্রযুক্তির বিশ্বে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করতে সক্ষম হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশে যাচ্ছি।
রোববার (৮ জানুয়ারি) সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ই-গেট এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ই- গেইট চালু হওয়াতে সুবিধাভোগীদের অনেক উপকারে আসবে। বিশেষ করে প্রবাসীরা দেশে আসলে নানা ধরনের দুর্ভোগের মুখে পড়েন।এটি চালু হওয়ায় অনেকটা দুর্ভোগ লাগব হবে।
তিনি বলেন, সিলেটের বিরাট সংখ্যক মানুষের দ্বৈত্য নাগরিকতত্ব আছে আমাদের যারা ডুয়েল সিটিজেন আছেন তাদেরকে নো ভিসা সার্ভিস আরো বেগবান করতে হবে যাতে করে প্রবাসীরা আরো দ্রুত এই সার্ভিস পায়।
পাসপোর্টের জন্য সাধারণ মানুষের হাহাকার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন,সময় মত পাসপোর্ট না পেলে জনগণ নানা অভিযোগ করেন তাদের অনেক অভিযোগ সত্য এবং অনেক অভিযোগের সত্যততা থাকে না।তিনিসিলেটে আরেকটি পাসপোর্ট অফিস করার তাগিদ দেন।
ই-পাসপোর্টধারীদের জন্য স্বয়ংক্রিয় ইমিগ্রেশন সেবা দিতে এই বিমানবন্দরে বসানো হয়েছে ছয়টি ই-গেট (ইলেকট্রনিক গেট )।এরই মধ্যে ছয়টি ই-গেট মেশিন স্থাপন করা হয়েছে যার ফলে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে মাত্র ১৮ সেকেন্ড সময় ব্যায় হবে বলে জানিয়েছেন বিমানবন্দর সংশ্লিষ্টরা।
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সসর্বপ্রথম বাংলাদেশে ই-গেট কার্যক্রম শুরু হয় ২০২১ সালের ৩০ জুন। ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বসানো ই-গেটের উদ্বোধন হয়েছিল সেদিনই।
সিলেটে ই-গেইট চালু হওয়ায় বিমানবন্দরের কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে। ই-পাসপোর্টে থাকা মাইক্রোপ্রসেসর চিপ এবং অ্যান্টেনা স্ক্যান করে ই-গেট পাসপোর্টধারী ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করবে। যাত্রীরা ই-গেটে পাসপোর্ট দেওয়ার পরই স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে খুলে যাবে ফটক। কিছু সময়ের মধ্যে শেষ হবে বিদেশগামীদের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম। যাত্রী নিজে নিজে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন। এ জন্য কোনো কর্মকর্তার প্রশ্নের মুখেও পড়তে হবে না।
বিমানবন্দর সূত্র জানা যায়, ই-গেইট দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান ফ্লোরা লিমিটেড এরই মধ্যে ই-গেট মেশিন স্থাপনসহ সব কাজ সম্পন্ন করেছে। যাত্রীদের বহির্গমনের জন্য তিনটি এবং প্রবেশের জন্য তিনটি গেট চালু থাকবে।
ই-পাসপোর্ট এর মাধ্যমে একজন বিদেশগামী কারও সাহায্য ছাড়া নিজেই নিজের ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে পারবেন। পুরো প্রক্রিয়াটি এক মিনিটেরও কম সময়ে সম্পন্ন হবে। পৃথিবীতে এর চেয়ে নিরাপদ ও সর্বাধুনিক পাসপোর্ট এখন পর্যন্ত উদ্ভাবন হয়নি। বিশ্বের ১১৮টি দেশেগ ই-পাসপোর্ট ব্যবহার করছে। বাংলাদেশ হলো ১১৯তম দেশ। ই-পাসপোর্টের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বে পাসপোর্টের ক্ষেত্রে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে প্রবেশ করেছে। ইতিমধ্যে ঢাকার পাসপোর্ট অধিদপ্তর থেকে শুরু করে সকল বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে ই-পাসপোর্ট সেবা চালু হয়েছে।
ই-গেট সুবিধা হলো-আন্তর্জাতিক ভ্রমণে একজন যাত্রীর পরিচয়পত্র তার পাসপোর্ট। পুরোনো পাসপোর্টের চাইতে বেশি সুরক্ষিত ই-পাসপোর্ট। এটি এমন এক ধরনের ইলেক্ট্রিক সিস্টেম যার কভারে একটি চিপ থাকে। যার মধ্যে থাকে পাসপোর্ট বহনকারীর তথ্য, সেই সাথে তথ্য জালিয়াতি থেকে সুরক্ষা ব্যবস্থা। পুরোনো এমআরপি পাসপোর্টের দশ আঙুলের ছাপ সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকলেও ই-পাসপোর্টে তা রয়েছে। এর মাইক্রোপ্রসেসরে একজন ব্যক্তির বায়োমেট্রিক ও বায়োগ্রাফিক ৪১টি তথ্য থাকে। এর মধ্যে ২৬টি তথ্য খালি চোখে দেখা যায়। ২টি বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে যা বিশেষ যন্ত্র ছাড়া পাঠ করা যায় না।
উদ্বোধন কালে আরো বক্তব্য রাখেন পাসপোর্টের মহাপরিচাল মেজর জেনারেল নুরুল আনোয়ার , সুরক্ষা বিভাগের সচিব আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, সিলেটের জেলা প্রশাসক মো: মজিবর রহমান।
উপস্থিত ছিলেন, সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের উপ-পরিচালক মহের উদ্দিন শেখ, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন খান, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহিত চৌধুরী, সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, ইমজার সভাপতি মঈন উদ্দিন মনঞ্জু সহ উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা বৃন্দ।