রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে ইউক্রেনের লবণ খনির শহর

দৈনিকসিলেট ডেস্ক :
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের লবণ খনির শহর হিসেবে খ্যাত সোলেদারের অধিকাংশ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে রাশিয়া। যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, ইউক্রেনের বাহিনীর সঙ্গে মাসব্যাপী যুদ্ধের পর সোলেদার শহরটি ‘সম্ভবত’ এখন রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, সোলেদারে ‘কোনো প্রাণ নেই’, ‘কোনো দেয়াল অবশিষ্ট নেই’। সোলেদারের সমস্ত ভূমি লাশে ঢেকে গেছে। পাগলামি মনে হয় এরকমই।
যুদ্ধের আগে সোলেদারের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ১০ হাজার। প্রধানত বাখমুত অঞ্চল দখলের প্রথম ধাপ হিসেবে সোলেদার নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। তবে রাশিয়ার এই কৌশলগত নিয়ন্ত্রণ প্রশ্নবিদ্ধ।
এক মার্কিন কর্মকর্তা গত সপ্তাহে বলেন, ‘ওয়াগনার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ইয়েভজেনি প্রিগোজিন এই এলাকার লবণ ও জিপসাম খনি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে চান।’
যদিও প্রিগোজিন খনিগুলোর প্রতি তার আগ্রহের বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন। বাখমুত এলাকার কৌশলগত গুরুত্বের সঙ্গে ওই খনিগুলোকে তিনি ‘কেকের ওপর চেরি’ বলে অভিহিত করেন।
তিনি এই অঞ্চলকে ‘ভূগর্ভস্থ শহরের একটি নেটওয়ার্ক’ হিসেবে বর্ণনা করেন। ওই টানেলে ৮০ থেকে ১০০ মিটার গভীরতায় বড় একটি সামরিক দলকে লুকিয়ে রাখা সম্ভব। এমনকি সেখানে ট্যাঙ্ক ও অন্যান্য সামরিক যানও অবাধে চলাচল করতে পারে।
যুক্তরাজ্য বলছে, শুরুতে এই লড়াই আসলে ২০০ কিলোমিটার দীর্ঘ অব্যবহৃত টানেলকে নিয়ে ছিল। এই টানেল দিয়ে রাশিয়া ও ইউক্রেনে সহজেই অনুপ্রবেশ করা যায়। আর দুই দেশই এই টানেল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়।
তবে যাইহোক, যুক্তরাজ্য বিশ্বাস করে ইউক্রেনের স্থিতিশীল প্রতিরক্ষা বাহিনী বাখমুত অঞ্চলকে এত সহজে রাশিয়ার দখলে যেতে দেবে না।
তবে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের একজন সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তা সোমবার জানান, সোলেদারের বেশিরভাগ অঞ্চলই এখন রাশিয়ানদের দখলে।