ভেঙ্গেপড়া গার্ড ওয়াল পুরনো ইট দিয়েই নির্মাণ, বরাদ্ধ ৫লক্ষ টাকা

জৈন্তাপুর প্রতিনিধি
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের ভিতরেই অনিয়মের মাধ্যমে ভেঙ্গেপড়া গার্ড ওয়ালের ইট ব্যবহার করে পুররায় গার্ডওয়াল নির্মাণ করা হলেও সংশ্লিষ্ট এলজিইডি কর্তৃপক্ষ নিরব। গার্ডওয়াল নির্মানের বরাদ্ধ ৫লক্ষ টাকা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জৈন্তাপুর উপজেলা কমপ্লেক্সের ভিতর সহকারি কমিশনার (এসিল্যান্ড) ভবন সংলগ্ন একটি গার্ডওয়াল ভেঙ্গে পড়ে যায়। গার্ডওয়ালটি নতুন করে নির্মানের জন্য সরকারি ভাবে ৫লক্ষ টাকা বরাদ্ধ করা হয় উপজেলা এলজিইডি অফিস নিয়ন্ত্রনে। সম্প্রতি টিকাদারী প্রতিষ্ঠান গার্ডওয়াল নির্মাণ কাজ শুরু করে। এলজিইডি কর্মকর্তাদের যোগসাজেসে টিকাদারী প্রতিষ্ঠান পুরাতন ভেঙ্গেপড়া গার্ডওয়ালের ইট ধুয়ে মুছে পরিস্কার করে এবং ভাঙ্গা ইট দিয়ে কংকিট তৈরী করে লিন্টার পিলারের কাজ দেদারছে করে যাচ্ছে। সচেতন মহলের দাবী যেখানে সরকার ৫লক্ষ টাকা বরাদ্ধ করেছে নতুন ভাবে গার্ডওয়াল নির্মানের জন্য। নতুন নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার না করে এর স্থলে জনগুরুত্বপূর্ণ এবং সরকারি স্থাপনার কাজে পুরাতন ভেঙ্গেপড়া দেওয়ালের ইট ও ইট দিয়ে কংকিট তৈরী করে লিন্টার ও পিলার কাজ কোন ভাবে কাম্য নয়। অনিয়মের মাধ্যমে টিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ করলেও প্রতিনিয়ত জৈন্তাপুর উপজেলা এলজিইডির উপ-সহকারি প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম পরিদর্শন করলেও নি¤œমানের ইট ব্যবহারের কোন নিষেদাজ্ঞাও করছেন না। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উদ্বর্তন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক টিকাদাররা জানান পুরাতন ইট ব্যবহার ও ভাঙ্গা ইট দিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
উপ-সহকারি প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, পুরাতন ইট সাইটে রাখা আছে, নতুন ইট ব্যবহার করা হচ্ছে। কোন অনিয়ম হচ্ছে না। ইট ধোয়া মুছার বিষয়টি তিনি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন।
উপজেলা প্রকৌশলী এ.কে.এম রিয়াজ মাহমুদ সাথে মোবাইল ফোনে জানান, আমি প্রশিক্ষনে গোপালগঞ্জে রয়েছি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।
জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদ বলেন, অনিয়মের বিষয়টি জানতে পেরে কাজ বন্ধ রাখার জন্য উপজেলা প্রকৌশলী এ.কে.এম রিয়াজ মাহমুদ কে বলা হয়েছে।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন