প্রার্থনার মাধ্যমে আল্লাহমুখী হওয়ার নির্দেশনা
দৈনিকসিলেট ডেস্ক :
নিজের প্রয়োজন পূরণের জন্য, বিপদ থেকে রক্ষার জন্য আল্লাহর কাছে সমর্পণের কোনো বিকল্প নেই। মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলে তিনি খুশি হন। যেকোনো বান্দা তাঁকে ডাকলে তিনি তাঁর ডাকে সাড়া দেন।
আল্লাহ কাছে ও দূরের সবাইকে দেখেন। সব কিছু শোনেন। যেকোনো ভাষায় তাঁর কাছে দোয়া করা যায়। যেকোনো সময় তাঁর কাছে দোয়া করা যায়। আস্তে ও জোরে যেকোনোভাবে তাঁকে ডাকা যায়। এ বিষয়ে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন নিজেই ইরশাদ করেন, ‘আমার বান্দারা যখন আমার সম্পর্কে তোমাকে প্রশ্ন করে, (তুমি বলে দাও) আমি তো কাছেই আছি। প্রার্থনাকারী যখন আমার কাছে প্রার্থনা করে, আমি তার প্রার্থনায় সাড়া দিই। সুতরাং তারাও আমার ডাকে সাড়া দিক এবং আমার ওপর ঈমান আনুক, যাতে তারা সঠিক পথে চলতে পারে।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৬)
দোয়া মানুষকে অহংকার থেকে দূরে রাখে। যে আল্লাহর কাছে দোয়া করে না, আল্লাহর কাছে সাহায্য চায় না, সে যেন নিজেকে সর্বেসর্বা ভাবে। এই মনোভাব তাকে বিপদগামী করে এবং সত্যপথ থেকে দূরে সরিয়ে দেয়। এ বিষয়ে কোরআনের নির্দেশনা হলো, ‘তোমাদের রব (আল্লাহ) বলেন, তোমরা আমার কাছে দোয়া করো, আমি তোমাদের দোয়া কবুল করব। যারা অহংকারবশত আমার ইবাদত থেকে বিমুখ, তারা অবশ্যই লাঞ্ছিত হয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।’ (সুরা মুমিন, আয়াত : ৬০)
এ আয়াত থেকে জানা যায়, যারা দোয়া করে না; যারা আল্লাহর কাছে সাহায্য চায় না, তারা অহংকারী। সুতরাং দোয়া করলে অহংকার থেকে মুক্ত থাকা যাবে।
অনেকে মনে করে, শুধু প্রয়োজন হলে কিংবা বিপদাপদে দোয়া করতে হয়। অথচ যেকোনো পরিস্থিতিতে দোয়া করা যায়। কেননা দোয়ার মাধ্যমে বান্দার মুখাপেক্ষিতা ও অক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ ঘটে। এর মাধ্যমে আল্লাহর বিশেষ রহমত লাভের পথ প্রশস্ত হয়। তা ছাড়া দোয়া করা পৃথক একটি ইবাদত। আল্লাহর কাছে দোয়া করা ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত। হাদিস শরিফে রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘দোয়াই ইবাদত।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ১৪৭৯; তিরমিজি, হাদিস : ২৯৬৯)