শহীদ মিনারে ছাত্রদল-ছাত্রলীগের সংঘর্ষে নিহত ১, মামলা দায়ের

স্টাফ রিপোর্টার :
শহীদ মিনারে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল-ছাত্রলীগের সংঘর্ষে একজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।নিহত রাসেল ছাত্রলীগের কর্মী বলে দাবী করেছেন ছাত্রলীগের নেতারা। ঘটনাটি গত ১৬ডিসেম্বর সিলেট নগরীর চৌহাট্রাস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে ফুল দিতে আসেন আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ অঙ্গসংগঠন ও বিভিন্ন পেশাজীবি সংগঠন এর নেতাকর্মীরা।
ফুলের তোড়া নিয়ে শহীদ বেদীতে অগ্রসর হওয়ার সময় ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পরে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। অনুসন্ধানে জানা যায়, ক্ষমতাসীন সরকার দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী শহীদ মিনারে অস্ত্রসস্ত্র রাখে। যার ফলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা ছাত্রদলের উপর চড়াও হয়ে যায়।তুমুল সংঘর্ষের এক পর্যায়ে রাসেল নামের একজন গুরুত্বর আহত হন। তাকে প্রথম শহীদ সামসুদ্দিন হাসপাতালে এবং পরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। জানা যায়, সংঘর্ষে সময় উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৩০/৪৫জন আহত হন।
এ ঘটনায় পরদিন ১৭ ডিসেম্বর জালালাবাদ থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলী বাহার বাদী হয়ে সিলেট জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আলতাফ হোসেন সুমন, বর্তমান সভাপতি তোফায়েল আহমদ, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি সুদীপ চৌধুরী এ্যাষ, সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি আহসান, ১নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মোঃ শামসুজ্জামানসহ ১৮জনের নাম উল্লেখ করে কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি মামলা (নং-২৬) দায়ের করেছেন।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, ঘটনার পর থেকে আওয়ামী লীগের উর্ধ্বতন নেতাদের নির্দেশে মামলাটিকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে পুলিশ অজ্ঞাত ২জনকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার করলেও মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়।
কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহেল আহমদ বলেন, মামলায় ছাত্রদলের পদধারী নেতাদের বাসায় পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। মামলা দায়েরের খবর শুনে তারা পলাতক রয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। তবে পুলিশের গ্রেফতারী অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।