প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জীবনমান উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানে প্রধানমন্ত্রী আন্তরিক : জেলা প্রশাসক

দৈনিকসিলেটডটকম
সিলেটের জেলা প্রশাসক মো মজিবর রহমান বলেছেন, সকলকে সম্পৃক্ত করেই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হবে। সরকার সবার জন্যে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সবাইকে সমানভাবে মূল্যায়ন করেন।
‘বাংলা ইশারা ভাষার প্রচলন-বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জীবনমান উন্নয়ন’ প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে বাংলা ইশারা ভাষা দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে আয়োজিত আলোচনা সভা ও সহায়ক উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন, জেলা সমাজসেবা কার্যালয় এবং প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র, সিলেট এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এতে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মো মজিবর রহমান আরও বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জীবনমান উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানে প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত আন্তরিক। সরকার থেকে নানা ধরনের সহায়তাও দেওয়া হচ্ছে। এই সহায়তা ক্রমশ বৃদ্ধি পাবে।
তিনি সিলেটে বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের চিকিৎসার পরিকল্পনা উল্লেখ করে বলেন, এ ব্যাপারে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। এই উদ্যোগে বাক ও শ্রবণশক্তি ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি সিলেট বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ শহিদুল্ ইসলাম প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কল্যাণে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্প তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশন গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন বলেও তিনি জানান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো মামুুনুর রশীদ। আরও বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন, জেলা প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আল আজাদ, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহিত চৌধুরী ও ব্লাস্ট সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট ইরফানুজ্জামান চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা সিদ্ধার্থ শংকর রায়। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, সিলেট বধির কল্যাণ ও ক্রীড়া সংঘের সভাপতি মকসুদ আহমদ মকসুদ ও সিলেট বধির সংঘের সভাপতি আহমদ আলী। সঞ্চালনায় ছিলেন সামাজিক প্রতিবন্ধী মেয়েদের প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের সহকারী ব্যবস্থাপক মো লুৎফুর রহমান। ইশারা ভাষায় বক্তব্য উপস্থাপন করেন সিলেট সরকারি বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবু তাহের মো ইবনে সাঈম খান।
পরে পাঁচজন বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীর মাঝে সহায়ক উপকরণ বিতরণ করা হয়।