মো. আয়াছ মিয়ার জীবন ও কর্মশীষক স্মারকগ্রন্থের প্রকাশনা

দৈনিকসিলেটডটকম
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সাবেক সদস্য, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, মো. আয়াছ মিয়া কেবল সিলেটের কৃতিসন্তান নন। তিনি পুরো বাংলাদেশের গর্ব। তাঁর কর্মময় জীবন সবার জন্য অনুপ্রেরণা। তিনি বহির্বিশ্বে বাঙালির সম্মান ও মর্যাদাকে উচ্চকিত করেছেন। ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবন ছাপিয়ে সমাজসেবায় তিনি যে অবদান রাখছেন, তা ইতিহাস মূল্যায়ন করবে। তাঁর জীবন ও কর্মশীর্ষক স্মারক সেই পথকে উন্মোচিত করেছে।
মোড়ক উন্মোচন বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে গত মঙ্গলবার (১৪ ফ্রেরুয়ারী) যুক্তরাজ্যের টাওয়ার হ্যামলেট্স-এর সাবেক স্পিকার ও একাধিকবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর মো. আয়াছ মিয়ার জীবন ও কর্মশীষক স্মারকগ্রন্থের প্রকাশনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিশ্বনাথ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সিরাজুল হকের সভাপতিত্ব সিলেট নগরীর দরগাহ গেইটস্থ কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের শহিদ সোলেমান হলে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও কবি অধ্যক্ষ কালাম আজাদ এবং সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মো. আয়াছ মিয়া।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি বলেন, পৃথিবীতে মানবজাতির জন্য সবচেয়ে বড় করুণা হচ্ছে ওহি। এই ওহির কারণে মানুষকে সম্মানিত করা হয়েছে। তাই সম্মানিত মানুষকে সম্মান করতে হয়। কাউন্সিলর মো. আয়াছ মিয়া সেই সম্মানিত মানুষদের একজন। তাঁর জীবন ও কর্ম দিয়ে আলোকিত করছেন দেশ ও জাতিকে।
বিশিষ্ট আবৃত্তিশিল্পী মীম সুফিয়ানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্বনাথ ডিগ্রি কলেজের সাবেক প্রিন্সিপাল এনামুল হক, দেমাশাদ হাইস্কুলের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শামছু মিয়া লয়লুস, প্রাইম ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান বিশিষ্ট ব্যাংকার তাজ উদ্দিন আহমদ, বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান, বিশ্বনাথ সমিতি সিলেটের সভাপতি শাহ মতছির আলী, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ আসাদুর রহমান, দেওকলস ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খাকয়রুল আমিন আজাদ, দশঘর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এমাদ উদ্দিন খান, শেকড়সন্ধানী লেখক আবু সুফিয়ান চৌধুরী প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শেষে বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসময় সংগীত পরিবেশন করেন আন্তর্জাতিক নাশিদশিল্পী গাজী আনাস রওশন, ডা. জহির অচিনপুরী, কণ্ঠশিল্পী এইচএম আমানুল্লাহ, মুশাহিদ আল বাহার, মাহফুজুর রহমান মারুফ এবং হ্যাভেন টিউন নাশিদ ব্যান্ডের শিল্পীরা।
সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্যে টাওয়ার হ্যামলেট্স-এর সাবেক স্পিকার ও কাউন্সিলর মো. আয়াছ মিয়া বলেন, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই আমি সমাজসেবায় আত্মনিয়োগ করেছি। সততা, নিষ্ঠা এবং আন্তরিকতার সাথে কাজ করলে মূল্যায়ন হবেই। সেই অভিপ্রায় থেকেই এ স্মারকগ্রন্থ প্রকাশের প্রচেষ্টা। এ স্মারকগ্রন্থ রচনা এবং আজকের অনুষ্ঠানকে বাস্তবায়ন করতে যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন, তাদের সকলের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
সভাপতির বক্তব্যে বিশ্বনাথ সরকারি কলেজের সাবেক প্রিন্সিপাল সিরাজুল হক বলেন, মো. আয়াছ মিয়া আমার ছাত্র। তাকে নিয়ে আমি গর্ববোধ করি। কলেজে অধ্যয়নকালীনই আমি বুঝেছি, সে জীবনে বড় কিছু করবে। সময়ের ব্যবধানে তার প্রমাণ দেখিয়েছে। সে তার কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আলোকিত মানুষ হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করেছে।