পাখি সোহেল : কর্মগুনেই সিলেটের মিডিয়াপাড়ার অনন্য নাম

বিথী রানী নাথ
কর্মগুনেই জেগে উঠেছে একটি নাম। একসময় অখ্যাত এই নামটিই এখন সিলেটের মিডিয়াপাড়া ভেদ করে ছড়িয়ে পড়েছে দেশব্যাপী। বলছি সোহেল আহমদের কথা। অবশ্য, সোহেল বললে এই নামটির বিশেষগুনটি চাপা পড়ে যাবে অনায়াসে। তাই নামের আগে ‘পাখি’ যোগ করে ‘পাখি সোহেল’ বলা হলে এই নামের মানুষটিকে কারো চিনে নিতে বেগ পেতে হবে না একটুও। শুধুমাত্র কাজের প্রতি একাগ্রতা, নিষ্টা এবং অসীম ধৈর্য্য মোকাবেলা করেই আজকের মিডিয়া পাড়ার সফল ব্যক্তির নাম পাখি সোহেল। মা-বাবা ও ৪ ভাই-বোন, স্ত্রী ও ২ সন্তান মিলেই পাখি সোহেলের পরিবার।
শুরুর যাত্রাটি খুব সহজ ছিল না সোহেলের। তবে আগ্রহ এবং নিষ্টায় প্রথম যাত্রায় সফল হয়েছিলেন তিনি। এর পেছনে অনুপ্রেরণার গল্প হিসেবে পাখি সোহেল স্মরণ করেন ‘কিয়ামত থেকে কিয়ামত’ এবং ‘তোমাকে চাই’ মুভি। ঘটনাটি
৯৫ সালের। সেই থেকে তিনি অনুপ্রাণিত হোন ডিরেকশন ও অভিনয় জগতে আসার। এখন কাজের তালিকায় যুক্ত হয়েছে অজস্র নাটক আর গান। যার ফল হিসেবে এখন তিনি সিলেটের জনপ্রিয় ডিরেক্টরদের একজন।
তার ডিরেকশনে করা প্রত্যেক টি নাটক সাংস্কৃতিক অংগনে এনে দিয়েছে নতুন দিগন্ত। তার এই জগতে আসার পিছনে যার অবদান ছিলো মুখ্য তিনি হলেন সোনারগাঁও মিডিয়া এন্ড ফিল্ম প্রডাকশনের কর্ণধার জামাল উদ্দিন আহমেদ।
এই গুনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সোহেল আহমেদ বলেন,আমার জীবনে আমি অনেক মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি দু হাত ভরে। কিন্ত তার মধ্যে শ্রেষ্ঠ হিসেবে পেয়েছি জামাল উদ্দিন মামাকে। কাজের ক্ষেত্রে পেয়েছি তার কাছ থেকে মনোবল ও মানসিক শক্তি।
নিজের কাজ সম্পর্কে প্রতিক্রিয়ার জবাবে সোহেল বলেন, শুরুতে আমি ক্যামেরাম্যান হিসেবে কাজ করেছি। কিন্ত আমার চিন্তায় ছিলো আমি আরো কিছু কাজ করবো যা আমার সিলেট এবং বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অংগন কে আরো সমৃদ্ধ করবে। তার পরে আমি অভিনয় জগতে আসি। ভালো একটা সাড়া পাওয়ার পর আমি এডিটিং প্যানেলে চলে আসি। আমার এডিটিং কাজের অনুপ্রেরণা ব্যাপক ভাবে সাড়া পাওয়ার পর আমি ডিরেকশন বা কনসেপ্ট নিয়ে কাজ করার কথা ভাবি এবং আমি কাজ করতে শুরু করি। তার পর সবার ভালোবাসায় আমি ভালো ভালো কাজ উপহার দিতে থাকি।
নিজে নাটক ও অভিনয় করার পাশাপাশি পাখি সোহেলের পরিচালনায় প্রায় ৫০ টির মতো মিউজিক ভিডিও রয়েছে। প্রায় ৩/৪ হাজার মিউজিক ভিডিও নিয়ে কাজ করে সফলতা পেয়ে সোহেলের অনুভূতি ‘ ভালো একটি কাজ আরও শতাধিক ভালো কাজের প্রেরণা যোগায়। তিনি এ বিষয়ে কলাকুশলীসহ ,গানের গীতিকার,শিল্পী,গানের মিউজিক কম্পোজার, গানের অভিনেতাদের সহযোগীতার কথা স্মরণ করেন কৃতজ্ঞচিত্তে।
বাংলা চলচিত্র নিয়ে কাজ করার প্রচণ্ড ইচ্ছা পাখি সোহেলের। সফলতা হিসেবে ‘জানের জান’ ( গীতিকার প্রবাসি সেলিম আহমেদ,মিউজিক পল্লব), কি রুপ হেরিলাম (গীতিকারঃ- হাজী মুছাব্বির) জীবন খাতা(পাগল হাসান এর কথা ও সুরে)
কইন্যা বিদায় (মোফাজ্জল ও আমার প্রিয় বন্ধু বিথী রানী নাথ,মিউজিক সুদীপ চক্রবর্তী )দামান্দের আগমন(জাকারিয়া তালুকদার,শিল্পী বিথী রানী নাথ)
দেখে আইলাম শাহ জালালের মাজার(হাজী আব্দুল মোছাব্বির,গানের শিল্পী উপমা,, মিউজিক পল্লব) খাটি সিলেটি(গীতিকার ঃ- আরিয়ান,শিল্পী বন্যা ও সুনা মিয়া মিউজিক মুহিন চিশতী) মনের আশা লন্ডন যাইতাম(মিউজিক হাসনাথ কবির,মিউজিক কাকন ফকির,শিল্পী বন্যা) রুপের কন্যা(জাকারিয়া তালুককদার,শিল্পী সাজ্জাদনুর,মিউজিক সুদিপ চক্রবর্তী) সিলেটি মাইয়া।
মন যাতনা ২… শিল্পী – রাজন খান
কথা- সুজন,সুর-রাজন খান,মিউজিক – শিহান
তুমার মায়ায় বিভর… শিল্পী – রাজন খান
কথা ও সুর – মাজহারুল
মিউজিক- রানা আকন্দ
সপ্নের বনে–
কথা- জাকের আহমেদ…সুর – আছাদ আফজল
মিউজিক – ওয়ালি
কলিজার বন্ধু- কথা – খসরু,সুর – শাহ্নেওয়াজ,মিউজিক – পল্লব
স্বপ্নের বনে
কলিজার বন্ধুরে
অতীতের কথা গুলো
মন যাতনা পিরিতি
মিউজিক সৈয়দ রাজন
শিল্পী সৈয়দ রাজন
তরে এত ভালা পাইছি
বলোনা ভালোবাসি
মিউজিক পল্লব দেব
শিল্পী দীপঙ্কর নাথ বিজয়
আবদার
আনমনা