পাক সুন্দরী গুপ্তচরের ফাঁদে ভারতীয় অফিসার

দৈনিকসিলেটডেস্ক
ওড়িশার বালাসরে ছোট্ট শহর চাঁদিপুর। এখানেই আছে মিসাইল উৎক্ষেপণ কেন্দ্র। এখান থেকেই উৎক্ষেপণ হয়েছে ব্রহ্মা, তেজস, অগ্নির মতো মিসাইলগুলো। পাকিস্তান হানা দিয়েছে এই কেন্দ্রে। রীতিমতো হানিট্র্যাপ বিছিয়ে, যৌনতার প্রলোভন দেখিয়ে হস্তগত করে নিয়েছে নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এই কাজে সহায়তা করেছে সোশ্যাল মিডিয়া। এক সুন্দরী পাক তরুণীর উত্তেজক নীল ছবির ফাঁদে পড়েন বাবুরাম দে নামের ৫১ বছরের টেকনিক্যাল অফিসার। তিনি দুর্বল মুহূর্তের বহু তথ্য, যা একান্ত গোপনীয়, তা ফাঁস করে দেন তরুণীর হাতে। আই জি হিমাংশু লাল জানান যে, দীর্ঘদিন ধরে বাবুরাম দে এই তথ্য সরবরাহ করে আসছেন। বালাসরের এসপি সাগরিকা নাথ জানিয়েছেন, তাদের আশংকা শুধু যৌনতাই নয়, আর্থিক লেনদেনও করেছেন বাবুরাম দে।
তরুণী পাক গুপ্তচর সংস্থা আই এসআইএ’র সদস্য। মোবাইল ফোনে বাবুরামের সঙ্গে উত্তেজন কথোপকথনে অংশ নিত সে। আশঙ্কা করা হচ্ছে বাবুরাম অগ্নি, তেজস বা ব্রহ্মা সম্পর্কে কোনও গোপন তথ্য পাকিস্তানকে পাচার করতে পারেন। বাবুরামকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। জেরা চলছে। ২০২১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর এই চাঁদিপুর মিসাইল উৎক্ষেপণ কেন্দ্রে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয় চরবৃত্তির অভিযোগে। এরপর এই হানিট্র্যাপ। পাকিস্তান যে চাঁদিপুরের মিসাইল কেন্দ্রকে তাদের টার্গেট করেছে তা বলাই বাহুল্য।