সিলেটে চারদিনে সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ জন নিহত

দৈনিকসিলেট প্রতিবেদক :
সিলেটে চার দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৬ জন।এর মধ্যে রয়েছেন সিলেটের পাঁচজন ও মৌলভীবাজারের একজন। সর্বশেষ ২৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দক্ষিণ সুরমার লালাবাজারের বাহাপুর এলাকায় (সিলেট-ঢাকা) মহাসড়কের একটি পিকআপ ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কায় দেয়।
এ ঘটনায় লতিফ নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।তার বাড়ি ওসমানীনগর থানার উমরপুর ইউনিয়নে।এসময় আহত হয়েছেন নুরুল ইসলাম নামে এক যুবক। তিনি চৌকিদেখী মসজিদ গলির আতিকুর রহমানের ছেলে। বর্তমানে তিনি হাসপতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দক্ষিণ সুরমা থানার ভারাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) কামরুল হাসান তালুকদার।
এরআগে ২৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ সুরমার নাজিরবাজারে ট্রাক চাপায় বিস্কুট কোম্পানির এক কর্মী।
মোজাম্মিল ইসলাম (৩৪) তিনি ওসমানীনগর উপজেলার তাজপুরে একটি বাসায় ভাড়াটে হিসাবে থাকতেন এবং বিস্কুট কোম্পানীতে চাকরি করতেন।গত সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে।
দুর্ঘটনায় নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি কামরুল হাসান তালুকদার।
২৬ ফেব্রুয়ারি রোববার বিকেল ৫টার দিকে সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের গয়নাঘাট এলাকায় যাত্রীবাহী বাসের চাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।
নিহত দুজন হলেন-সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার উছমানপুর ইউনিয়নের কমরপুর গ্রামের মোশাহিদ আলী ওরফে পাখি মিয়ার ছেলে জাহেদ হোসেন (৩৭) ও একই উপজেলার ধনপুর গ্রামের ইসমাইল আলীর ছেলে রেদওয়ান আহমদ (২৬)।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, সিলেট থেকে ছেড়ে আসা শেরপুরগামী যাত্রীবাহী বাস ঘটনাস্থলে পৌঁছে একটি মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়।এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান জাহেদ হোসেন। অপর আরোহী রেদওয়ানকে দ্রুত উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার রাতে তার মৃত হয়।
শেরপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিমল চন্দ্র দেব সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।তিনি জানান, ওই দুই মোটরসাইকেল আরোহী গোয়ালাবাজার থেকে তাজপুরের দিকে যাচ্ছিলেন।ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের গয়নাঘাট এলাকায় বাসের চাপা একজন ঘটনাস্থলে ও অপরজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান ওসি পরিমল।
একইদিন বিকেল ৫টায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ভৈরববাজার-মৃত্তিঙ্গা সড়কে ট্রাক ও সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে নওশাদ মিয়া (৪০) নামে এক ফেরিওয়ালা নিহত হন। তিনি বিভিন্ন জায়গায় প্লাস্টিকের খেলনা বিক্রি করতেন। এসময় আহত হয়েছেন ৩জন।
আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। নিহত ব্যক্তি উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের কালাছড়া গ্রামের মৃত মাসুম মিয়ার ছেলে।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকালে কোম্পানীগঞ্জে চোরাই পণ্য বহনকারী মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নাঈম আহমদ (১১) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার মাঝেরগাঁও গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশু নাঈম আহমদ উপজেলার উত্তর রণীখাই ইউনিয়নের বিজয়পাড়ুয়া (মাঝেরগাঁও) গ্রামের আল আমিনের ছেলে।
দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় জানান, মোটরসাইকেলের ধাক্কায় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।