যে কারণে আনুশকা-প্রভাসের প্রেমে ফাটল ধরল

দৈনিকসিলেট ডেস্ক :
অমরেন্দ্র বাহুবলি ও দেবসেনা। বহুল আলোচিত ‘বাহুবলি’ সিনেমায় এই দুটি চরিত্র রূপায়ন করেন অভিনেতা প্রভাস ও অভিনেত্রী আনুশকা শেঠি। পর্দায় এ জুটির রসায়ন ভক্তদের মনে এতটাই দাগ কাটে যে, বাস্তব জীবনেও তাদের জুটি হিসেবে ভেবে নেন তারা।
‘বাহুবলি-টু’ মুক্তির পর প্রভাস ও আনুশকার প্রেম ও বিয়ে নিয়ে নানা গুঞ্জন চাউর হতে থাকে। তা ছাড়া দুজনই এখনো অবিবাহিত। দুয়ে দুয়ে চার মিলিয়ে চলতে থাকে নানা জল্পনা-কল্পনা। যদিও পরবর্তীতে দুজনই এই গুঞ্জন অস্বীকার করেন। আনুশকা শেঠি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন— ‘আমি প্রভাসকে ১৫ বছর ধরে চিনি। সে আমার এমন বন্ধু যাকে রাত ৩টা সময়ও ফোন কল করতে পারি।’
এতকিছুর পরও থেমে নেই প্রভাস-আনুশকার প্রেম-বিয়ের গুঞ্জন। কিন্তু এবার জানা গেলো, সম্পর্কে ছিলেন আনুশকা-প্রভাস। তবে তা এখন ভেঙে গেছে।
সিয়াসাত ডটকম এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ‘বিল্লা’ সিনেমার শুটিং সেটে পরস্পরের প্রেমে পড়েন আনুশকা-প্রভাস। তারপর থেকে দীর্ঘ দিন এ সম্পর্ক চালিয়ে যানা এই জুটি। তারা বিয়ের করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন। কিন্তু একজন সিনিয়র নায়কের সঙ্গে আনুশকার সম্পর্কে জড়ানোর গুঞ্জন উঠেছিল। আর এজন্য প্রভাসের সঙ্গে আনুশকার মতবিরোধ তৈরি হয়। পরে আনুশকার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেন প্রভাস।
এ বিষয়ে কয়েকটি সূত্র সংবাদমাধ্যমটিকে বলেন— ‘সিনিয়র ওই নায়কের সঙ্গে আনুশকার প্রেমের গুঞ্জন চাউর হওয়ার পর প্রভাসে মা আনুশকাকে পুত্রবধূ হিসেবে ঘরে তুলতে আপত্তি জানান। আর এসব বিষয় এখন তেলেগু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে বহুল চর্চিত বিষয়ে পরিণত হয়েছে।’
‘বিল্লা’ (২০০৯) সিনেমায় প্রথম পর্দায় জুটি বাঁধেন প্রভাস ও আনুশকা। ‘মির্চি’ (২০১৩) সিনেমাতেও তাদের রসায়ন দেখেছেন দর্শক। এরপর বাহুবলি সিনেমার মাধ্যমে আবারো পর্দায় তাদের জাদু দেখান এই জুটি।