সিলেটে ইবাদত বন্দেগিতে পালিত হচ্ছে পবিত্র শবে বরাত

দৈনিকসিলেট প্রতিবেদক :
মুসলমানদের মহিমান্বিত ভাগ্য রজনী পবিত্র শবে বরাত আজ। পাপমুক্তি আর মহান আল্লাহ রাব্বুল আল-আমীনের রহমত অর্জনের পরম সৌভাগ্যময় এ রাত। আল্লাহ তায়ালার রহমত লাভের আশায় এ রাতে ইবাদত করবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। শবে বরাত মুসলমানদের জন্য একটি আচরণীয় ধর্মীয় দিবস। আরবি শাবান মাসের পঞ্চদশ রাতে এটি পালিত হয়। এই উপমহাদেশে শবে বরাত পালিত হয় প্রধানত সৌভাগ্য রজনী হিসেবে।শবে বরাত পালনের বিশেষ তাৎপর্য আছে। মুসলমানদের ধারণা, এ রাতে পরবর্তী বছরের ভাগ্য লিপিবদ্ধ হয়। সারা রাত জেগে ইবাদত-বন্দেগি এবং আল্লাহর থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করলে গুনাহ মাফ হয় বলে আশা করা হয়।
সিলেট জেলার প্রায় সবকয়টি উপজেলায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বিভিন্ন মসজিদে ধর্মীয় আলোচনা, কোরআন তেলাওয়াত, মিলাদ, কিয়াম, দোয়া, দরুদ পাঠের মধ্য দিয়ে এই পবিত্র দিনটি পালন করছেন। অনেক মসজিদে সারারাত জুড়ে মুসল্লিরা নফল ইবাদাত করবেন। যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় মঙ্গলবার রাতে সারা দেশে পবিত্র শবে বরাত পালিত হয়েছে। ইবাদত–বন্দেগির মধ্য দিয়ে শবে বরাত পালন করেন মুসল্লিরা।
বিশেষ করে হযরত শাহজালার (রঃ) মাজার ও শাহপরান (রঃ) মাজার, সিলেট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সহ বড় বড় মসজিদে মুসল্লিদের ভিড় সর্বাধিক।
শবে বরাতে মাগরিবের নামাযের পর থেকে ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে ইসলাম ধর্মের পবিত্র এই রাতটি পালন করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। এই রাতে সাধারণত ফরজ নামাযের পাশাপাশি নফল নামায, তসবীহ, জিকির ও মৃত আত্মীয় স্বজনের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে পালন করা হয়।
শবে বরাতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া তথা প্রার্থনার জন্য মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা সন্ধ্যার পর থেকেই বিভিন্ন মসজিদে ভিড় করেন। মসজিদে মসজিদে নামায, কোরআন তেলাওয়াত, মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাত করেন মুসল্লীরা। চোখের পানি ফেলে সৃষ্টিকর্তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন তাঁরা। অনেকে আবার মাজার ও কবরস্থানে যান মোনাজাত করার জন্য।
শবে বরাতে মহান আল্লাহ আগামী বছরের ভাগ্য নির্ধারণ করেন। এ রাতে তিনি তার সৃষ্টি জগতের সবার অতীতের কর্মকাণ্ড আমলে নিয়ে আগামী বছরের ভাগ্য লিপিবদ্ধ করেন।
মসজিদে মুসল্লিরা ছাড়াও বাসা-বাড়ীতে নারী-শিশুরা পবিত্র শবে বরাতের ইবাদত যথাযথ মর্যাদায় আদায় করছেন। অনেকেই আগামীকাল নফল রোজা পালন করবেন।