গভীর রাতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, মন্দির থেকে মূর্তি চুরি

নিজস্ব প্রতিবেদক :
কুলাউড়া উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের গজভাগ গ্রামের একটি হিন্দু বাড়িতে গতকাল গভীর রাতে আততায়ী কর্তৃক অগ্নিসংযোগের ঘটনার খবর পাওয়া যায়। বাড়ির সবাই ঐদিন প্রতিদিনের ন্যায় রাতের খাবার শেষ করে ঘুমিয়ে পড়লে, রাত আনুমানিক ২ টার দিকে হঠাৎ ঘরের মধ্যে আগুন আর ধোঁয়া দেখে সবাই ঘুম ভেংগে উঠলে তারা ঘটনাটি বুঝতে পারে। সাথে সাথে স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে সেদিন কোন রকমে বাইরে আসতে পেরে পরিবারকে রক্ষা করতে পেরেছিলেন বাড়ির প্রধান চন্দন কুমার চন্দ (৫৫) । কিন্তু নিজের পরিবারকে রক্ষা করতে পারলেও সেদিন বাড়ির প্রধান উনার বসতবাড়ি ও পারিবারিক সূত্রে পাওয়া কুলদেবতাকে রক্ষা করতে পারেননি। মূহুর্তের মধ্যে সমস্ত ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বাড়িতে আগুন দেওয়া ছাড়াও ঐ পরিবারে সেদিন লোটপাটের ঘটনাও ঘটে। পুড়ে যাওয়া হিন্দু পরিবারের প্রধান চন্দন কুমার চন্দের জবানবন্দিতে জানা যায়, ঐ রাতে বাড়িতে আগুন দেওয়া সহ পারিবারিক মন্দিরের দরজা ভেংগে দুস্কৃতিরা বংশ পরম্পরায় মন্দিরের স্বর্নের তৈরী গোপালের মূর্তি নিয়ে যায়। এটা সম্পুর্ণ পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিত ভাবে করা হয়েছে বলে চন্দন কুমার চন্দ মনে করেন। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায় আনুমানিক প্রায় ৪০-৫০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এই ঘটনায় বাড়ির মালিক পরের দিন সকালে কুলাউড়া থানায় অজ্ঞাত ব্যাক্তির নামে একটি মামলা করেন।
এ ব্যাপারে পৃথিমপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনসুর আহমদের সাথে কথা বলে জানা যায়, চন্দন কুমার চন্দের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাট এর ঘটনা তিনি শুনেছেন, কিন্তু শারীরিক সমস্যার কারণে তিনি সশরীরে গিয়ে দেখতে পারেননি। তিনি খুব দ্রুত পুলিশের সহায়তা নিয়ে এই ঘটনার পেছনের মানুষকে খুঁজে বের করতে সহায়তা করবেন বলে জানান।