সুস্থতার বড় অন্তরায় ক্রমাগত মনোবিক্ষিপ্ততা!
দৈনিকসিলেটডেস্ক
এখন এই ফিটনেসের পথে একটি বড় অন্তরায় হচ্ছে, ক্রমাগত মনের বিক্ষিপ্ততা। কন্টিনিউয়াস মেন্টাল ডিস্ট্রাকশন। এই ক্রমাগত মনের বিক্ষিপ্ততা বা মনোযোগের বিক্ষিপ্ততা একটা নতুন মহামারির রূপ নিয়েছে শুধু আমাদের সমাজে নয়, সারা পৃথিবীব্যাপী।
অথচ আমরা জানি প্রতিটি সাফল্যের পেছনে রয়েছে অখণ্ড মনোযোগ। এবং যে-কোনো বিষয়ে যখন কেউ মনোযোগ ধরে রাখতে পারে তখন তিনি লেগে থাকতে পারেন। যিনি লেগে থাকেন তিনি-ই খ্যাতিমান ও স্মরণীয় হন!
আর লেগে থাকাটাই হচ্ছে সাধনা। এবং যিনি লেগে থাকেন তিনি অর্জন করেন, তিনি খ্যাতিমান হন, তিনি স্মরণীয় হন, তিনি বরণীয় হন।
বিখ্যাত চিত্রশিল্পী মকবুল ফিদা হুসেন এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, হঠাৎ করে কিছু হয় না, মনোযোগ দিতে হয়, লেগে থাকতে হয়। হঠাৎ খ্যাতিমান হয়ে গেলেও লেগে থাকার গুণ অর্জন করতে না পারলে খ্যাতি হারিয়ে যায়। ভেতরে যদি কিছু না থাকে প্রচারে কোনো লাভ হয় না।
তিনি বলেন, আমি ৪০-৫০ বছর ধরে একনাগাড়ে ঘষেছি, ছবি এঁকে কী হবে এই কথা ভাবিনি কোনোদিন! তিনি এঁকেছেন ঘষেছেন লেগে থেকেছেন। এজন্যেই তার চিত্র কালকে জয় করেছে।
এম এফ হুসেন যেমন আত্মমগ্ন হয়ে ছবির ক্যানভাসে ডুবে যেতেন, খ্যাতিমান হবার পরও একইভাবে তিনি কাজের মধ্যে ডুবে যেতেন। কাজের সময় মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে এমন সমস্ত কিছু থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলতেন।
বিশ্বখ্যাত আরেক চিত্রশিল্পী পাবলো পিকাসোর বিখ্যাত উক্তি হচ্ছে, “আমি যখন আমার স্টুডিওতে কাজ করি তখন আমার দেহটাকে আমি দরজার বাইরে রেখে আসি। মুসলমানরা যেমন মসজিদে ঢোকার আগে দরজায় জুতা খুলে ভেতরে ঢোকে, আমিও তেমনি দেহটাকে রেখে শুধু মনটা নিয়েই স্টুডিওতে ঢুকি”।
গভীর মনোযোগ ছাড়া সৃষ্টিশীল কাজ বা উদ্ভাবনের জন্ম হয় না!
প্রিয় সুহৃদ! শুধু পাবলো পিকাসো নয়, এম এফ হুসেন নন, লতা মুঙ্গেশকরের মতো সংগীত শিল্পী তিনি যখন গানে ডুবে যেতেন সবকিছুন ভুলে যেতেন। তখন তার জীবনে সেই মুহূর্তগুলোতে শুধু সেই গানটিই থাকত।
আমরা যদি নিউরোসায়েন্সের আলোকে বিষয়টি ব্যাখ্যা করি তাহলে আমরা খুব সহজে বলতে পারি যে, আমরা যা দেখি শুনি ও শিখি সব মস্তিষ্কে জমা হয়। মস্তিষ্ক যখন আন-ডিস্ট্রাক্টেড ফ্রি টাইম পায়, যখন মনোযোগ বিক্ষিপ্ত হওয়ার সুযোগ থাকে না তখন যে তথ্যগুলো নিউরোনের মহাসমুদ্রে জমা হতে থাকে, এই তথ্যগুলোর মধ্যে যোগ্যসূত্র তৈরির কাজ শুরু করে মস্তিষ্ক। পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয় অবচেতন স্তরে।
আপাতদৃষ্টিতে সম্পর্কহীন বিপরীতমুখী দুটি তথ্য বা চিন্তার মধ্যে তখন সংযোগ তৈরির সুযোগ আসে এবং এভাবেই জন্ম নেয় নতুন চিন্তা নতুন ভাবনা নতুন তথ্য নতুন কিছু।
কিন্তু বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বড় অসুবিধা হচ্ছে, এই তথ্য প্রক্রিয়াজাত করার জন্যে মানুষের মস্তিষ্কের যে পরিমাণ বিক্ষিপ্ততামুক্ত সময় দরকার তা সে পাচ্ছে না। যার ফলে মনোযোগের ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে।
মস্তিষ্ককে অপ্রয়োজনীয় সংকেত থেকে সুরক্ষা দেয়ার জন্যে আছে প্রি-ফ্রন্টাল কর্টেক্স। অপ্রয়োজনীয় সংকেত এলে সে তা ঠেকিয়ে দেয়। একটা দুইটা তিনটা চারটা পাঁচটা ছয়টা অনায়েসে সেই সংকেত সে ঠেকিয়ে দেয়।
কিন্তু সমস্যা হলো, গত কয়েক দশকে তথ্যের বিস্ফোরণ ঘটেছে। এবং বিশেষত করোনাকালে নেতিবাচক তথ্যের বিস্ফোরণ আরও ভয়াবহ।
আর করোনাকাল থেকে তো আমরা সবাই অনলাইনে। ব্রেকিং নিউজ! স্মার্টফোন বাজছে, মেসেজ নোটিফিকেশন কিছু না কিছু আসছেই। হাজার হাজার সিগন্যাল, মস্তিষ্কের পাহারাদার প্রি ফ্রন্টাল কর্টেক্স সামলে উঠতে পারছে না। বারোটা বাজছে মনোযোগের। সাধারণভাবে এখন আমরা আর কাজ করতে পারছি না।
আমাদের অনেকের ধারণা টিভি ইন্টারনেট থেকে যত ব্রেকিং নিউজই আমরা গিলতে থাকি না কেন, সব হজম করে ফেলতে পারব। আসলে এটি একটি ভুল ধারণা।
কারণ নিউরোসায়েন্টিস্টরা বলেন যে, আসলে যে-কোনোকিছুর গভীরে ঢুকতে গেলে সময় লাগে। সেই ভাবনায় ডুবে যেতে হয়। কিন্তু আপনি যদি সারাক্ষণ শুনতেই থাকেন, আর ইমেইল পাঠাতে থাকেন, মেসেজ পাঠাতে থাকেন তাহলে কোনো বিষয়ের গভীরে ঢোকার জন্যে আপনার মস্তিষ্ক সময় পাবে না।
এবং আমরা যদি আমাদের চারপাশে তাকাই তাহলে আমরা এর সত্যতা খুঁজে পাব। কোনো বিষয়ের গভীরে যাওয়ার আগ্রহ এবং প্রচেষ্টা আমাদের কমে গেছে। আমরা রাতারাতি সেলেব্রেটি হওয়ার চেষ্টায় এখন মগ্ন।
ইন্সট্যান্ট নুডলসের মতো ইন্সট্যান্ট সাকসেস আমরা চাই, ফলে আমরা হারিয়েও যাই দ্রুত। কারণ যা ইন্সট্যান্ট আসে তা ইন্সট্যান্টলিই চলে যায়। আর যখন কোনো বিষয়ের গভীরে ডুবে আপনি সফল হবেন সাফল্য খ্যাতি তখনই দীর্ঘস্থায়ী হবে।
আসলে সারা পৃথিবীতে ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে অশান্তি অস্থিরতা অনিশ্চয়তা অনিশ্চয়তাবোধের অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে এই মানসিক বিক্ষিপ্ততা মনের বিক্ষিপ্ততা মনোযোগহীনতার মহামারি।
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রয় বাউমিস্টার ৩০ বছর ধরে আত্মনিয়ন্ত্রণ ও ইচ্ছাশক্তির ওপর গবেষণা করছেন। তাকে এই সাবজেক্টের একজন শীর্ষ এক্সপার্ট হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন যে, খুব ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হচ্ছে আমার মনোযোগের ওপর আগের চেয়ে নিয়ন্ত্রণ কমে গেছে। আগে কয়েক ঘন্টা একটানা পড়তে বা লিখতে পারতাম। এখন মনে হয় মন শুধু এদিক সেদিক ছোটাছুটি করছে।
কিছুদিন হলো, খেয়াল করছি একটু বোর লাগলেই ফোন বের করে ভিডিও গেম খেলি। আগের মতো আর মনোযোগ ধরে রাখতে পারছি না। তিনি বলেন I am just sort of giving into it. And will start to feel bad.
আত্মনিয়ন্ত্রণের শীর্ষ এক্সপার্ট গবেষক প্রফেসর রয়ের যদি এই অবস্থা হয়, তার যদি ফোকাস করার ক্ষমতা ক্রমশ কমে যায় তাহলে বাকিদের কী অবস্থা অনুমান করা খুব সহজ।
আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের একজন কলেজ পড়ুয়া নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে মাত্র ১৯ সেকেন্ড মনোযোগ ধরে রাখতে পারে।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা অনুযায়ী প্রাপ্তবয়স্কদের অবস্থা ও শোচনীয়। অফিসে যারা কাজ করেন তারা সর্বোচ্চ তিন মিনিট একটি কাজে মনোনিবেশ করতে পারেন।
আসলে মনোবিক্ষিপ্ততার একটি প্রধান কারণ হচ্ছে স্মার্টফোন এবং সোশাল মিডিয়া।
একজন স্মার্টফোন ব্যবহারকারী প্রতিদিন স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে গড়ে সোয়া তিন ঘন্টা কাটিয়ে দেয়। আর ২৪ ঘণ্টায় ফোন স্পর্শ করে ২৬১৭ বার।
আর সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম বা টুইটার যে অ্যাকাউন্টই হোক এমন একটা মোহ তৈরি করে যে দুনিয়ার সবাই আপনাকে নিয়েই কথা বলছে।
টেকনোলজিকেল ডিস্ট্রাকশন যা আইকিউ লেভেল কমায় গাঁজা খাওয়ার চেয়েও দ্বিগুণ!আসলে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় গবেষক লর্যিয়া মার্ক ডিজিটাল ডিস্ট্রাকশন নিয়ে তার গবেষণা রিপোর্টে বলেন যে, মনোযোগ কোনোকিছুতে একবার যদি বিঘ্ন ঘটে তাহলে মূল কাজে মনোনিবেশ করতে ২৩ মিনিট ১৫ সেকেন্ড সময় লাগে।
অন্যভাবে বলা যায়, একটা কাজ করতে করতে আপনি হঠাৎ করে ফেসবুক বা হোয়াটসঅ্যাপ চেক করলেন ৩০ সেকেন্ড। আপনি শুধু ৩০ সেকেন্ড নষ্ট করলেন না, আপনার নষ্ট হলো পাক্কা ২৪ মিনিট। অর্থাৎ গভীর মনোযোগে ফিরে যেতে আপনার ২৪ মিনিট সময় লাগবে। এবং এই মনোবিক্ষিপ্ততা কাজের কোয়ালিটি কাজের গুণাগুণকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করে।
আইটি দানব হিউলেট প্যাকার্ড এইচপি তাদের একটি গবেষণা রিপোর্ট হচ্ছে, টেকনোলজিক্যাল ডিসট্রাকশন ইমেইল এবং টেলিফোন কল তার কর্মীদের আইকিউ গড়পরতা ১০ পয়েন্ট কমিয়ে দিচ্ছে।
সংক্ষেপে বলা যায়, গাঁজা খাওয়ার পরে আইকিউ যার কমে তার চেয়ে দ্বিগুণ কমে এই টেকনোলজিকেল ডিস্ট্রাকশনে।
মনোবিক্ষিপ্ততায় প্রাপ্তবয়স্কদের চেয়েও বড় ঝুঁকিতে এখন শিশুরা! এবং এই মনোবিক্ষিপ্ততা প্রাপ্তবয়স্কদের চেয়েও বড় ঝুঁকিতে আছে আপনার শিশুরা।
২০০৩ সালের তুলনায় ২০১১ সালে আমেরিকায় Attention-deficit-hyperactivity disorder এডিএইচডিতে আক্রান্ত শিশুর হার বেড়েছে ৪৩ শতাংশ। এবং ১৩ শতাংশ কিশোর-কিশোরী এখন এডিএইচডিতে আক্রান্ত।
ইংল্যান্ডে ১৯৮৬ সালের তুলনায় এডিএইচডি আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বেড়েছে ১০০ গুণ।
বাঁচার উপায় কী?
আপনি বলবেন আমরাও একই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। আমাদের মনোযোগ বিক্ষিপ্ততা বেড়ে গেছে। অনেকেই এই মহামারির শিকার হয়েছি। এটা নিয়ে দ্বিমত করার কোনো সুযোগ নাই।
আসলে উপায় আপনাকেই বের করতে হবে। এবং এরজন্য খুব শক্তভাবে দৃঢ়তার সাথে শুরু করতে হবে। একবারেই যে সফল হবেন তা না। কিন্তু যতবার পিছলে যাবেন ততবার উঠে দাঁড়াবেন। আপনি সফল হবেনই।
প্রযুক্তি দানবরা যে আপনার মনোযোগ লুটে নিয়েছে, এই লুটে নেয়া মনোযোগ আবার আপনি ফিরিয়ে আনতে পারবেন যদি আপনি সচেতনভাবে চেষ্টা করেন।
১. দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় স্মার্টফোন অন রাখুন!
এজন্যে প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে ডিজিটাল ডায়েটিং। কতক্ষণ আপনি ডিজিটাল যন্ত্র ব্যবহার করবেন অর্থাৎ স্মার্টফোন কতক্ষণ ব্যবহার করবেন তা আপনি ঠিক করে নেবেন।
আরেক ডিজিটাল দানব Intel। তারা তাদের কর্মীদের জন্যে কর্মসময়ে চার ঘণ্টা নির্দিষ্ট করে দিয়েছে যে, এই সময়ে তারা কোনো ইমেইল বা স্মার্টফোন ফোনে ফেসবুক বা হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করবে না। এবং এটার শুভ ফলও তারা পেয়েছে।
তো আপনি ঠিক করে নেন, নিজের জন্যে যে কাজের সময়ে কমসে কম চার ঘণ্টা আপনি আপনার স্মার্টফোন অফ রাখবেন।
আরো ভালো হয় যদি আপনি ঠিক করে নেন, দিনের এই এই সময়ে এই এই ঘণ্টায় এতক্ষণ আপনি আপনার স্মার্টফোন ওপেন রাখবেন। যাদের সাথে যোগাযোগ করার ইমেইল হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ যা কিছু করার সেই সময়ে করবেন।
অর্থাৎ প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে ডিজিটাল ডায়েটিং। ডায়েটিং কীভাবে করবেন আপনি ঠিক করে নেবেন।
২. শিশু কিশোর-কিশোরীদের ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের সময় নির্দিষ্ট করে দিন!
আর শিশু-কিশোর-কিশোরী এদেরকে এই ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করার সময় নির্দিষ্ট করে দেবেন যে, এই সময়ে তারা ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করবে। এবং এটা জোর করে না, উদ্বুদ্ধ করে তাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে মমতা দিয়ে।
৩. রাত ১১ টা থেকে ঘুম থেকে না ওঠা পর্যন্ত স্মার্টফোন অফ রাখুন!
এই ডিজিটাল ডায়েটিং শুরু করাটা চ্যালেঞ্জিং হবে। কিন্তু আসলে যিনি চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন এবং যিনি চ্যালেঞ্জিং কাজ করতে পারেন তিনিই আসলে শেষ পর্যন্ত সফল হন জয়ী হন।
এখন প্রয়োজন ডিজিটাল ডায়েটিং এর সাথে ডিজিটাল ফাস্টিং। রাত ১১ টা থেকে ঘুম থেকে না ওঠা পর্যন্ত স্মার্টফোন অফ করে রাখা।
৪. ডিজিটাল ডায়েটিং+ডিজিটাল ফাস্টিং = হারানো মনোযোগ!
আসলে ডিজিটাল ডায়েটিং এবং ডিজিটাল ফাস্টিং দুটো যদি সমান তালে করতে পারেন তাহলে আপনি আপনার হারানো মনোযোগ ফিরে পাবেন এতে কোন সন্দেহ নেই। এখনো ডিজিটাল দানবদের এই মনোযোগ হাইজ্যাক করার ষড়যন্ত্র থেকে যারা নিজেদেরকে রক্ষা করতে পারবেন তারাই সফল হবেন। তারাই ইতিহাসে তাদের নাম সফল মানুষ হিসেবে লিখে যেতে পারবেন।
৫. ‘মনোযোগ হাইজ্যাক’ রক্ষায় নিয়মিত যা করবেন…
প্রিয় সুহৃদ! আপনি যত নিয়মিত মেডিটেশন করবেন, যত ভালো চিন্তা এবং ভালো কাজের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখবেন তত আপনি আপনার মনোযোগকে মনোযোগায়নের ক্ষমতাকে হাইজ্যাক হওয়া থেকে রক্ষা করতে পারবেন।
সুত্র-একুশে