নোয়াখালী-জামলাবাজ’ সেতুর কাজ সম্পন্ন, জনমনে আশার আলো

দৈনিকসিলেট ডেস্ক :
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার বহুল প্রত্যাশিত জয়কলস ইউনিয়নের পূর্ব-পশ্চিমের মিলন সেতু ‘‘নোয়াখালী বাজার-জামলাবাজ সেতুর কাজ শেষ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সেতুর পাশাপাশি দুই পাড়ের এপ্রোচের কাজও শেষ, এখন সংযোগ সড়ক বাস্তবায়ন হলেই চলাচলের জন্য পুরোপুরি উন্মুক্ত হবে সেতুটি।
বহুল প্রত্যাশিত এই সেতুটি হওয়ায় পশ্চিম অঞ্চলের মানুষের প্রায় ২০ কিমি রাস্তা কমবে উপজেলা সদরে আসার ক্ষেত্রে। তেমনিভাবে পূর্বাঞ্চলের মানুষেরও যাতায়াত ব্যবস্থাও হবে সহজ। তাদেরকে আর কষ্ট করে নৌকা দিয়ে চলাচল করতে হবে না। শুধু নোয়াখালী-জামলাবাজ নয় সেতুটি নির্মাণের ফলে মির্জাপুর, হাসনাবাজ, ফতেপুর ও মানিকপুরের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থাও হবে সহজতর। শিক্ষা ও বাজার ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও আসবে আমূল পরিবর্তন।
অবহেলিত পশ্চিম অঞ্চলের সাধারণ মানুষদের কথা চিন্তা করেই সেতু স্থাপনের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে বিগত ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ সরকারের সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ও বর্তমান পরিকল্পনামন্ত্রী আলহাজ্জ্ব এম এ মান্নান “নোয়াখালী বাজার জামলাবাজ সেতু” নির্মাণের প্রতিশ্রতি দিয়ে ছিলেন। এবং প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সেতুটি বাস্থাবায়ন হওয়ায় পশ্চিম অঞ্চলের মানুষের মুখে ফুটেছে হাসি।
উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালী- জামলাবাজ এলাকার কালনী নদীর উপর নির্মানাধীন এই সেতুটিতে প্রায় ১৩ কোটি ৯৪ লক্ষ ৮৮ হাজার ২৮৩ টাকা ব্যয়ে হয়। সেতু নির্মানের কাজ করেছে ঢাকার নবারুণ ট্রেডার্স লিমিটেড ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি। সেতু ও এপ্রোচের কাজ শেষ। এখন সংযোগ সড়ক হয়ে গেলেই সেতুটির দ্রুত উদ্বোধন হবে।
হাসনাবাজ গ্রামের আব্দুল আলিম নামের এক বৃদ্ধ বলেন, আমরা মারাত্মক সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়েছি। চরম ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেলাম আমরা।জীবনের শেষ মুহুর্তে এসে সেতুটি দেখে শান্তি পাচ্ছি। আল্লাহ যেন আমাদের মান্নান সাহেবকে নেক হায়াত দান করেন।
স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া একাধিক শিক্ষার্থীরা বলেন, সেতুটির হওয়ায় আমাদের আর কষ্ট করে স্কুল-কলেজে যেতে হয় না। নৌকার জন্য আর অপেক্ষা করতে হয় না। আমাদের লেখাপড়ায় আর কোন বিঘ্ন ঘটছেনা। নিরাপদে লেখাপড়া করতে পারছি।
পরিকল্পনামন্ত্রীর একান্ত রাজনৈতিক সচিব ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসনাত হোসেন বলেন, সেতু নির্মানের একমাত্র কৃতিত্ব আমাদের সুনামগঞ্জের হাওর রত্ন মাননীয় পরিকল্পনামন্ত্রী মহোদয়ের। মন্ত্রী আছেন বলেই উন্নয়নের আলোয় আলোকিত হচ্ছে পুরো শান্তিগঞ্জ। মানুষের দুর্ভোগ লাগবে যেখানে যা প্রয়োজন সব করা হচ্ছে৷ নোয়াখালী-জামলাবাজ সেতুটি হওয়ায় শতবছরের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের৷ সেতুর ফলে এখানকার জীবনযাত্রায় আসবে আমূল পরিবর্তন।
উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক নূর হোসেন বলেন, বহুল প্রত্যাশিত নোয়াখালী -জামলাবাজ সেতুটির কাজ সম্পন্ন হয়েছে৷ এই সেতুটি হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থায় নবদিগন্তের দ্বার উন্মোচিত হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) আল নূর তারেক বলেন, সেতুর ও এপ্রোচের কাজ শেষ। এখন শুধু সংযোগ সড়ক স্থাপন বাকি। এই কাজটুকু শেষ হলেই সেতুটির শুভ উদ্বোধন করা হবে।