মুক্তির পরেই বিশ্ব রেকর্ড

দৈনিক সিলেট ডট কম
মারিও এবং লুইগি দুই ভাই। পেশায় প্লামবার। একদিন রাস্তার ম্যানহোলের পাইপ সারাই করতে গিয়ে দুর্ঘটনাবশত তারা পৃথিবীর গভীরে চলে যায়। পরস্পরের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। অন্য দুনিয়ায় গিয়ে মাশরুম কিংডম ও কুপাস নামে দুই গোত্রের যুদ্ধের মধ্যে জড়িয়ে পড়ে মারিও এবং লুইগি। গল্পটি ‘দ্য সুপার মারিও ব্রস মুভি’র। সিনেমাটি তৈরি হয়েছে ‘সুপার মারিও’ ভিডিও গেমস অবলম্বনে। মুক্তি পেয়েছে ৭ এপ্রিল। মুক্তির মাত্র তিন দিনেই সিনেমাটি আয় করেছে ৩৭৭ মিলিয়ন ডলার, যা প্রায় অবিশ্বাস্য! অ্যানিমেশন সিনেমার ইতিহাসে এর আগে এত অল্প সময়ে এমন বক্স অফিস কালেকশন করতে পারেনি কোনো সিনেমা।
হলিউড রিপোর্টারের তথ্য মতে, গতকাল সোমবার সকাল পর্যন্ত উত্তর আমেরিকায় সিনেমাটি আয় করেছে ২০৪.৬ মিলিয়ন ডলার এবং বিশ্ববাজারে আয় করেছে ১৭৩ মিলিয়ন ডলার। সব মিলিয়ে সপ্তাহ শেষে (রোববার পর্যন্ত) সিনেমাটির আয় যা দাঁড়িয়েছে, তাতে অ্যানিমেশন সিনেমার ইতিহাসে প্রথম সপ্তাহে সর্বোচ্চ আয়ের রেকর্ডের পাতায় নাম উঠে গেছে। নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, এর আগে এ রেকর্ডের মালিকানা ছিল ‘দ্য সিক্রেট লাইফ অব পেটস’ অ্যানিমেশন সিনেমার। ২০১৬ সালে মুক্তির প্রথম সপ্তাহে এ সিনেমা আয় করেছিল ১০০ মিলিয়ন ডলার।
জাপানের বৃহত্তম ভিডিও গেমস নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নিনটেন্ডোর বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তা পাওয়া ভিডিও গেমস ‘সুপার মারিও’। এটি অবলম্বনে ‘দ্য সুপার মারিও ব্রস মুভি’ তৈরি করেছেন অ্যারন হরভাথ ও মাইকেল জেলেনিক। বিভিন্ন চরিত্রে কণ্ঠাভিনয় করেছেন ক্রিস প্র্যাট, আন্না টেইলর-জয়, চার্লি ডে, জ্যাক ব্ল্যাক প্রমুখ। এ সিনেমা নির্মাণের শুরুর দিকে যখন ঘোষণা করা হয় মারিও চরিত্রে কণ্ঠ দেবেন ক্রিস প্র্যাট, তখন বেশ সমালোচনা হয়েছিল। অনেকেই এ চরিত্রে তাঁকে মেনে নিতে চাননি। এমনকি সিনেমার ফার্স্ট টিজারটিও মুখ থুবড়ে পড়েছিল। কিন্তু সব প্রতিকূলতা পেরিয়ে হলে এসে শেষ পর্যন্ত বাজিমাত করল ‘দ্য সুপার মারিও ব্রস মুভি’।
তবে সিনেমাটি তৈরি হওয়ার ক্ষেত্রে বাধা আরেকটি ছিল। এর আগে একই গল্প নিয়ে ১৯৯৩ সালে সিনেমা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সেটি ব্যবসায়িকভাবে একেবারেই সুবিধা করতে পারেনি। তাই ‘দ্য সুপার মারিও ব্রস মুভি’ তৈরিতে শুরুর দিকে আগ্রহ ছিল না প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের।