‘সিগনাল’ এর বেড়াজালে মেয়র আরিফ: নৌকার মাঝি কে?

আশীষ দে
‘সিগনাল’। অতি তাৎপর্যপূর্ন একটি শব্দ। তবে সিগনাল শব্দটি শুনলে প্রথমেই যে বিষয়টির কথা আমাদের মাথায় আসে সেটি হলো ‘ট্রাফিক সিগনাল’। রং সিগনালে গাড়ী চালালে ফাইন হয়। ফাইন বা জরিমানা নিশ্চিতভাবে কোনো সুখকর বিষয় নয়। ইদানীং আমাদের সিলেটের নগরপিতা আরিফুল হক চৌধুরী সাহেব ‘সিগনাল’ পেয়ে আলোচনায় রয়েছেন।
অবশ্য তিনি আলোচনায় থাকতেই বেশি পছন্দ করেন। যদিও কোনো ট্রাফিক সিগনালের স্বীকার হয়ে আলোচনায় আসতে হয়নি তাকে। তিনি পেয়েছেন ঝাল-মিষ্টি এক সিগনাল! লন্ডনে অবস্থানরত দলীয় কর্তা তারেক সাহেব আরিফ সাহেবকে সিটি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। এমনটাই জানিয়েছে অসমর্থিত একটি সুত্র। আরিফ সাহেব নিজেও একটি প্রোগ্রামে বলেছেন তিনি একটি দল করেন তাই দলের সিদ্ধান্তই তার সিন্ধান্ত। তিনি আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন কি না খোলাসা করেননি ফলে ধোঁয়াশা থাকছেই। চেয়ারের সাধ ভূলে থাকা অনেক কঠিন তাই আমার বিশ্বাস আরিফ সাহেব আবারো প্রার্থী হচ্ছেন। হয়তো নাগরিক কমিটির ব্যানারে। এদিকে নৌকার মেয়র প্রার্থী কে হচ্ছেন এটি নিয়েও জল্পনার শেষ নেই।
আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী সাহেব আপাতদৃষ্টিতে নৌকার মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে থাকলেও সিলেটের দীর্ঘদিনের পরিক্ষিত জননেতা এড. মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, আসাদ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক জাকির হোসেন, আজাদুর রহমান আজাদ, এটিএম হাসান জেবুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, কামরানপুত্র শিপলু, সালেহ আহমেদ সেলিম, মাহি উদ্দিন আহমেদ সেলিম, প্রত্যেকেরই রয়েছে ব্যক্তি ইমেজ। এরা প্রত্যেকেই দলের পরিক্ষিত নেতা।তাই শেষ পর্যন্ত কি হবে হাইকমান্ড ছাড়া আর কেউ জানে না। দিনশেষে নৌকার মনোনয়ন একজনই পাবেন। কে তিনি- সেটা হয়তো জানা যাবে শীঘ্রই।
একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমার ব্যক্তিগত চাওয়া নির্বাচন হোক অংশগ্রহনমূলক। সকল দল ও মতের প্রার্থীদের মধ্য থেকে সিলেটবাসী বেঁচে নেবে তাদের পছন্দের নগরপিতা।
আমরা আবর্জনা মুক্ত, ধোঁলাবালি মুক্ত, উন্নত পরিচ্ছন্ন একটি শহর চাই। যিনি আমাদের সেই প্রতিশ্রুতি দেবেন, যিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করেন, যিনি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে বিশ্বাস করেন আমরা তাকেই আমাদের যোগ্য নগরপিতা হিসেবে গ্রহণ করতে চাই।