সিলেটে শেষ মুহূর্তে জমজমাট ঈদবাজার

শাহীন আহমেদ :
আর মাত্র ঈদের ৩-৪ দিন বাকি। শেষ মুহূর্তে সিলেটে জমজমাট ঈদবাজার। সময় যথ ঘনিয়ে আসছে তাতে জমিয়ে উঠেছে ঈদের বাজার । ফ্যাশন কিংবা পোশাকে সবসময় উৎসবের রঙ খোঁজেন ক্রেতারা। তাই ডিজাইনে ভিন্নতা আনতে সাধ্যের কমতি নেই সিলেটের ছোট বড় শপিং মহল গুলোতে। এবার রমজানের শুরু থেকেই সিলেটে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। কম দামে সাশ্রয়ে কিনতে আগ থেকে মধ্যবিত্ত ক্রেতারাও কিনছেন স্বাচ্ছন্দ্যে। এবার ঈদুল ফিতর ঘিরে রোজার শেষের দিকে এসে ভালো ব্যবসা হওয়ায় খুশি বিক্রেতারা। আর ক্রেতারাও নতুন জামা-কাপড় কিনতে দিনে তীব্র গরম থাকায় রাতে বিপণিবিতানগুলোতে ভিড় করছেন। আর এ কারণে সিলেটে দিনের চেয়ে রাতে ঈদের কেনাকাটা হচ্ছে বেশি।
সরেজমিন দেখা যায়, শপিংমলের ভেতর পোশাকের সমাহার আর বাইরে রঙিন সাজসজ্জা। ক্রেতাদের নজর কাড়তেই এমন আয়োজন। এখন দিনরাত একাকার ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁকডাকে। রাত আটটা থেকে সেহরির আগ পর্যন্ত চলে জমজমাট কেনাকাটা। তবে ক্রেতারা জানান, অন্য বছরের তুলনায় এবছর কাপড়ের দাম সামান্য বেশি।
সিলেট বিভাগের কোটি মানুষের কেনাকাটার জন্য নগরে পাঁচ শতাধিক বিপণিবিতান, শপিংমল, মার্কেট ও ফ্যাশন হাউজে ক্রেতাদের পদচারণা এখন চোখে পড়ার মতো। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, দোকান ভাড়া, কর্মচারীর বেতন, এছাড়া বিদ্যুতের আসা-যাওয়া খেলায় জেনারেটর চালানোয় জ্বালানির খরচও লাগছে। এ অবস্থায় ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় দামও কিছুটা বেড়েছে। এটি শুধু সিলেটে নয় সারাদেশে একই অবস্থা।
বুধবার (১৯ এপ্রিল) রাতে নগরীর নয়াসড়ক, জিন্দাবাজার, নাইওরপুল, দরগাহগেট, বন্দরবাজার, মদিনা মার্কেট, মির্জাজাঙ্গাল ঘুরে দেখা গেছে, বিপণিবিতান, মার্কেট ও শপিংমলগুলো রীতিমতো আলো ঝলমলে। জানা গেছে, নগরের পূর্বজিন্দাবাজার, বারুতখানা, নয়াসড়ক, কুমারপাড়া, জেলরোড এলাকায় অভিজাত কাপড়ের দোকানগুলোতে প্রতিদিন ক্রেতাদের আনাগোনা বাড়ছে।
এদিকে জিন্দাবাজার ও বন্দরবাজারের ফুটপাতেও জমে উঠেছে ঈদবাজার। নিম্ন এবং মধ্য আয়ের লোকজন ফুটপাতে পছন্দের জামা কিনছেন একটু দরদাম করেই। মার্কেটের চেয়ে একটু সস্তায় কাপড় পাওয়ায় ফুটপাতেও মানুষের ভিড় দেখা গেছে।
সিলেটের ব্লু ওয়াটার সিটি শপিং সেন্টারে ঈদের নতুন পোশাক কিনতে আসা শিশু মোছা: কনিজা জেরিন বলেন, ঈদের জামা কিনতে বাবা-মায়ের সঙ্গে মার্কেটে এসেছি। আমি ও আমার বোন দুটি সারারা কিনেছি। আমাদের খুব পছন্দ হয়েছে।
জিন্দাবাজারের আল হামরা শপিং সিটির রাজ কন্যাণ ফ্যাশনের মালিক জামাল আহমদ বলেন, রমজানের শেষদিকে এসে কেনাকাটা বেড়েছে। নিজেদের পছন্দের জামা কিনছেন ক্রেতারা। অন্য বছরের চাইতে এবার একটু দাম বেড়েছে। শুধু সিলেটে নয় এটি সারাদেশে রয়েছে। তবে ব্যবসা ভালো। আশা করছি, ব্যবসা ভালোই হবে।
নাইওরপুর পয়েন্টের এক ব্যবসায়ী বলেন ব্যবসায়ীরা বলছেন, রমজানের শুরুর দিকে বিক্রি কম হলেও ২০ রমজানের পর বেড়েছে ক্রেতাদের ভিড়। দাম বাড়তি হলেও কয়েকগুণ চাপ বেড়েছে শিশুদের পণ্যসামগ্রীতে। এক বিক্রেতা বলেন, ‘আগের তুলনায় প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়তি থাকার কারণে ক্রেতাদের পণ্য পছন্দ হলেও তারা ঘুরে যাচ্ছেন।’
আরেকজন বিক্রেতা বলেন, ‘এবার মূলত আমাদের সুতি থেকে জর্জেট কালেকশন বেশি চলছে। সেই সঙ্গে ভারতীয় পোশাকের চাহিদা বেশি।’