চকদৌলত পুরে চাঞ্চল্যকর হত্যা, মামলা দায়ের, গ্রেফতার ২

স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার পূর্ব গৌরীপুর ইউনিয়নের চকদৌলতপুর (মধুরাই) গ্রামে বিগত ০২/০১/২০১৮ ইং তারিখে বস্তাবন্দি একটি লাশ পাওয়া যায়। ফজরের নামাজ শেষে মুসল্লীরা যখন নিজ নিজ বাড়িতে যাওয়ার জন্য রওয়ানা হন তখন পথিমধ্যে মোহাম্মদ ছাতির মিয়ার বাড়ির সামনে একটি মুখ বাধা বস্তা পড়ে আছে দেখতে পান।বস্তাটির মুখ খুলে দেখতে পান আব্দুল মতিন মিয়ার বাড়ির পাহারাদার সায়েক মিয়ার লাশ।সাথে সাথে মতিন মিয়া সায়েকের পিতা রহিম মিয়া এবং স্থানীয় বালাগঞ্জ থানায় খবর দেন।
পরবর্তীতে পুলিশ এসে লাশটির সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। নিহতের পিতা রহিম মিয়ার সাথে কথা বললে তিনি জানান যে, আমার চাচাতো ভাই মতিন মিয়ার বাড়িতে দীর্ঘ দিন থেকে আমার ছেলে পাহারাদার হিসেবে কাজ করে আসছে।মতিন মিয়া এবং ছাতির মিয়ার মাঝে দীর্ঘ দিন থেকে যায়গা জমি নিয়ে বিরুদ চলে আসছে।কিছু দিন পূর্বে ছাতির মিয়া সীমানা প্রাচীর তুলে ফেলার চেষ্টা করলে আমার ছেলে তাকে বাধা দেয়, তখন ছাতির মিয়া এবং তার ছেলেরা আমার ছেলে সায়েক মিয়াকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়। আমার ছেলেকে পরিকল্পিত ভাবে ছাতির মিয়া ও তার ছেলেরা হত্যা করেছে। মোহাম্মদ তারেক আজিজ, ইনুছ মিয়া,ছাতির মিয়া এই তিন জনের নাম উল্লেখ পূর্বক আরও ৩/৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছি।আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই বলেই তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
এব্যাপারে বালাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকবর হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, রহিম মিয়া বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। এবং আমরা রাতেই এজাহার নামীয় ২ও ৩ং আসামী মোহাম্মদ ছাতির মিয়া ও ইনুছ মিয়াকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি।প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব শত্রুতার সূত্রপাত ধরেই হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে। আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে আসল ঘটনা উদঘাটন করা যাবে।মামলার প্রধান আসামী মোহাম্মদ তারেক আজিজ কে গ্রেফতার করতে আমাদের সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।