মাধবপুরে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সৌরভের মায়ের সংবাদ সম্মেলন

নাহিদ মিয়া, মাধবপুর প্রতিনিধি :
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দ্বীজেন চন্দ্র আচার্য্য ওপর হামলাকারী সৌরভ পাঠানের মা তাহমিনা বেগম তার মেয়েসহ কয়েকজন শিক্ষিকার বদলীর জন্য দাবিকৃত টাকা নিয়ে কাজ না করে হয়রানি ও দুর্ব্যবহার করায় ক্ষোভ ও অভিমান থেকে তার ছেলে এ কাজ করেছে দাবি করে সাংবাদিক সম্মেলন করেন।
শনিবার ২৯ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০টায় তার নিজ বাসভবনে এক সাংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমার মেয়ে আফরিনা আজিজুন্নাহার শাম্মী মাধবপুর উপজেলার হরিশ্যামা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় সরকারি বিধি মোতাবেক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় বদলী হয়। আমার স্বামী জীবিত না থাকায় এবং সে গর্ভবতী হওয়ায় তার ছোট ভাই ঢাকা কলেজের অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্র সৌরভ পাঠানকে নিয়ে অফিসিয়ালী যোগাযোগ রক্ষা করে আসছে। গত ৩ এপ্রিল আমার মেয়ে ও তার ৪ বান্ধবী শিক্ষা অফিসে ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দ্বীজেন চন্দ্র আচার্য্যর কাছে তাদের বদলির বিষয়টি জানায় এবং রিলিজ অর্ডার দেয়ার জন্য বললে তিনি কিছু না বলে বাসায় চলে যান। আবারও ৪ তারিখ গেলে তিনি তাদের বলেন তোমাদের বদলি হয়েছে তাতে আমার লাভ কি? সে জানায় ফাইনানসিয়াল অর্ডার আসেনি তাই আমি রিলিজ অর্ডারে স্বাক্ষর করতে পারব না। সে সময় তারা উনাকে চা নাস্তা খাওয়ার জন্য প্রত্যেকে এক হাজার টাকা করে দেয়। তা গ্রহণ করেন তিনি বলেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করতে মোটা অংকের টাকা লাগবে। এ সময় তাৎক্ষণিক ভাবে জনৈক শিক্ষিকা ১০ হাজার টাকা উনার হাতে দিয়ে আসে। শিক্ষা কর্মকর্তা দ্বীজেন চন্দ্র আচার্য্য’র দাবিকৃত আমার মেয়েসহ বাকী ৪ শিক্ষিকার ৪০ হাজার টাকা সৌরভের মাধ্যমে হবিগঞ্জ বাসায় তার কাছে দিয়ে আসে। পর্ববতীতে ৬ তারিখ বিকাল ৩টার দিকে তিনি রিলিজ অর্ডারে স্বাক্ষর করেন। কিছু দিন পর জনৈক শিক্ষিকার কাছে টাকা পায়নি বলে দাবি করেন। এ সংবাদ আমার ছেলে পেয়ে ক্ষোভে ওই দিন বিকালে টাকা দেয়া নেয়া নিয়ে শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে রাস্তায় কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়।
এ ঘটনায় আমি আমার ছেলের আচরণে দুঃখ প্রকাশ করছি। এবং শিক্ষা কর্মকর্তার এহেন আচরণ তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উধর্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছি।