কুমিরের পেট থেকে যেভাবে দেহাবশেষ উদ্ধার

দৈনিকসিলেডেস্ক
বন্ধুদের সঙ্গে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হন অস্ট্রেলীয় জেলে কেভিন ডারমোডি। গত শনিবার উত্তর কুইন্সল্যান্ডের প্রত্যন্ত অঞ্চলে শেষ দেখা গিয়েছিল তাকে। অবশেষে ব্যাপক অনুসন্ধানের পর তার দেহাবশেষ পাওয়া গেলো কুমিরের পেটে।
বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৃত ওই অস্ট্রেলিয়ান মৎস্যজীবী কেপ ইয়র্কের বাসিন্দা। নিখোঁজের পর তার সন্ধানে ওই এলাকায় দুই দিন ধরে অভিযান চালানো হয়। পরে সোমবার পুলিশ দুটি কুমিরকে হত্যা করে এবং একটির পেটে মানুষের দেহাবশেষ উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত মৃতদেহটি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে শনাক্ত করা যায়নি। তবে পুলিশ বলেছে, ৬৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির সন্ধানে চালানো অভিযানের মর্মান্তিক সমাপ্তি ঘটেছে।
বিবিসি বলছে, মৃত ডারমোডি ছিলেন একজন অভিজ্ঞ জেলে। তাকে শেষবার যেখানে দেখা গিয়েছিল সেখান থেকে প্রায় ১.৫ কিলোমিটার দূরে দু’টি কুমিরকে গুলি করে হত্যা করা হয়। কুমির দু’টি লম্বায় ৪.১ মিটার (১৩.৪ ফুট) এবং দৈর্ঘ্যে ২.৮ মিটার।
মূলত এই দু’টি সরীসৃপ প্রাণীর একটির মধ্যেই মানুষের দেহাবশেষ পাওয়া গেছে। তবে বন্যপ্রাণী কর্মকর্তাদের বিশ্বাস, উভয়ই ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল।
ঘটনার সময় ডারমোডির সঙ্গে থাকা জেলেরা আক্রমণটি দেখতে পাননি। তবে বিপদের মুখে থাকা ওই ব্যক্তির চিৎকার তারা শুনেছিলেন এবং তারপরে সজোরে পানির মধ্যে কিছু পড়তে দেখেন।
কেপ ইয়র্ক উইকলিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডারমোডির বন্ধু জন পিটি বলেন,
ডারমোডির বন্ধু জন পিটি সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় কেপ ইয়র্ক উইকলিকে বলেছেন, ‘আমি দৌঁড়ে গিয়েছিলাম… কিন্তু তার কোনও চিহ্ন ছিল না। তীরে শুধু তার স্যান্ডেল পাওয়া গেছে, আর কিছু ছিল না।’
অস্ট্রেলিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় এলাকায় কুমিরের বিচরণ অকি সাধারণ হলেও আক্রমণ খুবই বিরল। ১৯৮৫ সালের পর থেকে ডারমোডির মৃত্যু কুইন্সল্যান্ডে ১৩তম মারাত্মক আক্রমণের ঘটনা।