আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের কারণে কর্মী নিয়োগ বন্ধ করবে আইবিএম

দৈনিকসিলেডেস্ক
আসন্ন বছরগুলোতে কর্মক্ষেত্রে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (এআই) ব্যবহার বাড়বে। তাই প্রযুক্তি কোম্পানি আইবিএম কর্মী নিয়োগ স্থগিত করবে। তাদের প্রত্যাশা কোম্পানিটির প্রায় আট হাজার কর্মীর স্থলাভিষিক্ত হবে এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স।
সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে দেওয়া এক সক্ষাৎকারে আইবিএম-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অরবিন্দ কৃষ্ণ বলেন, আগামী পাঁচ বছরে কোম্পানির যে সব কর্মীর সরাসরি গ্রাহকদের সঙ্গে কাজ নেই (নন-কাস্টমার ফেসিং রোল) তাদের এক-তৃতীয়াংশ চাকরি হারাতে পারেন।
মঙ্গলবার প্রকাশিত হওয়া প্রতিবেদনে কৃষ্ণ বলেন, নন-কাস্টমার ফেসিং রোল পর্যায়ে প্রায় ২৬ হাজার কর্মী রয়েছে। আগামী পাঁচ বছরে তাদের মধ্যে ৩০ শতাংশ চাকারি হারাবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও অটোমেশনের কারণে।
ওপেনএআই-এর চ্যাটজিপিটিসহ এআই পাওয়ার প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতিতে অসংখ্য শিল্পে যখন ব্যাপক বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা করা হচ্ছে তখনই কৃষ্ণের এমন মন্তব্য সামনে এসেছে।
এদিকে অর্থনীতিতে ধীরগতি, কোম্পানিগুলোর প্রযুক্তিনির্ভরতা বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বড় তোলপাড় ঘটতে চলেছে বৈশ্বিক চাকরির বাজারে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) অনুসন্ধান বলছে, ২০২৭ সালের মধ্যে চাকরি বাজারে নতুন ৬ কোটি ৯০ লাখ পদ সৃষ্টি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। একই সময়ে বিলুপ্ত হবে ৮ কোটি ৩০ লাখ পদের চাকরি। এর ফলে নিট ১ কোটি ৪০ লাখ চাকরি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা বর্তমান কর্মসংস্থানের দুই শতাংশের সমান।
গত রোববার (৩০ এপ্রিল) ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য। বিশ্বব্যাপী আট শতাধিক কোম্পানির ওপর জরিপ চালিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে বৈশ্বিক সংস্থাটি।