এরদোয়ানের সমাবেশে ১৭ লাখ মানুষ

দৈনিকসিলেডেস্ক
তুরস্কে প্রেসিডেন্ট ও সংসদ নির্বাচনের আর এক সপ্তাহেরও কম সময় বাকি আছে। দেশটিতে রাজনৈতিক দলগুলো তুমুল প্রচারণা চালাচ্ছে। গতকাল রোববার রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ইস্তাম্বুলে গণসমাবেশের আয়োজন করেছেন। সেখানে অন্তত ১৭ লাখ মানুষের সমাগম হয়েছে। এমনই দাবি করেছেন এরদোয়ান। আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এরদোয়ান ইস্তাম্বুলের সমাবেশে বিশাল জনসমাগমকে স্বাগত জানান। সেই সঙ্গে তিনি গত ২১ বছরে তার সরকারের অর্জনের কথা মনে করিয়ে দেন।
এরদোয়ান বলেন, ২১ বছরে আমরা ২১ মিলিয়ন লোককে খাবার দিয়েছি, চাকরি দিয়েছি। ২১ বছরে আমরা ১০ দশমিক ৫ মিলিয়ন নতুন বাড়ি তৈরি করেছি এবং পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি।
তিনি এ সময় বিরোধীদের সমালোচনা করেছেন। একইসঙ্গে তিনি দেশের প্রতিরক্ষা শিল্পের প্রসার ঘটনোর কথা বলেছেন।
সমাবেশ ঘিরে শুধু মানুষ আর মানুষ
রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান দেশটিতে গত ২০ বছরের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় আছেন। দেশটিতে আগামী ১৪ মে প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বিবিসি বলছে, এবারের নির্বাচনে এরদোয়ান বিরোধীদের পক্ষ থেকে সবচেয়ে কঠিন এক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে যাচ্ছেন।
দেশটিতে এবার এরদোয়ান বিরুদ্ধে ছয়টি দল একতাবদ্ধ হয়েছে। দলগুলো এরদোয়ানের বিরুদ্ধে একক প্রার্থী হিসেবে বিরোধী নেতা কেমাল কিলিচদারুগলুকে দাঁড় করিয়েছে।
এরদোয়ানের শাসনামলে তুরস্ক ক্রমশই একটি কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। তবে এবারের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো তুরস্কের এমন পরিস্থিতির এখন পরিবর্তন ঘটাতে চাচ্ছে।
দেশের অর্থনীতির নাজেহাল অবস্থা, মুদ্রাস্ফীতির ঊর্ধগতি, জোড়া শক্তিশালী ভূমিকম্পে ৫০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু-এবার এরদোয়ানকে নাজুক করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রচারণায় ফিরলেন এরদোয়ান, দিলেন ‘হুঙ্কার’
তুরস্কের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যতো ভোট পড়বে, কোনো প্রার্থী যদি তার ৫০ শতাংশের বেশি পান, তাহলে তিনি সরাসরি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন। এটি না হলে নির্বাচনের দুই সপ্তাহ পর সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া দুই প্রার্থীর মধ্যে দ্বিতীয় দফায় ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হবে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত কয়েক বছর ধরেই তুরস্কের ভোটাররা বিভক্ত। কিন্তু ৬৯ বছর বয়সী এরদোয়ান এর আগে এমন চাপের মুখে আর পড়েননি। জনমত জরিপে দেখা যাচ্ছে, এরদোয়ানের চেয়ে তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিরোধী জোটের প্রার্থী এগিয়ে আছেন।