নবীজি (সা.)-এর সুন্নত অনুসারে ইবাদত করা
আবদুল্লাহ আল-মাহমুদ :
রাসুল (সা.)-এর সুন্নত অনুযায়ী ইবাদত করা। আল্লাহ বলেন, ‘রাসুল তোমাদের যা দেন তা তোমরা গ্রহণ করো এবং যা থেকে তোমাদের নিষেধ করেন তা থেকে বিরত থাকো।’ (সুরা হাশর, আয়াত : ৭)
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি এমন কোনো আমল করল, যাতে আমাদের নির্দেশনা নেই তা প্রত্যাখ্যাত।’ (মুসলিম, হাদিস : ১৭১৮)
তিনি আরো বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমাদের শরিয়তে এমন কিছু নতুন সৃষ্টি করল, যা তার মধ্যে নেই, তা প্রত্যাখ্যাত।’ (বুখারি, হাদিস : ২৬৯৭; মুসলিম, হাদিস : ১৭১৮)
হুজায়ফা ইবনুল ইয়ামান (রা.) বলেন, ‘যে সব ইবাদত রাসুল (সা.)-এর সাহাবিরা করেননি, সেসব ইবাদত তোমরাও করো না। কেননা পূর্ববর্তী লোকেরা [রাসুল (সা.) ও সাহাবায়ে কেরাম] পরবর্তী লোকদের জন্য কোনো অসম্পূর্ণতা রেখে যাননি। অতএব হে মুসলিমসমাজ, তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং পূর্ববর্তীদের রীতিনীতি গ্রহণ করো।’ (আবু ইসহাক আশ-শাতেবি, আল-ইতিসাম ২/১৩২)
ফুজাইল ইবনু ইয়াজ (রহ.) বলেন, ‘আমল খালেস হলেও যদি তা সঠিক না হয়, তাহলে তা (আল্লাহর কাছে) কবুল হবে না। আর আমল সঠিক হলেও যদি তা খালেছ না হয়, তাহলেও তা কবুল হবে না; যতক্ষণ পর্যন্ত আমলটি খালেস ও সঠিক না হয়। খালেস হলো, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্যই ইবাদত করা, আর আমলের শুদ্ধতা হলো, রাসুল (সা.)-এর সুন্নত অনুযায়ী আমল করা।’ (শায়খুল ইসলাম ইবনু তায়মিয়া, আল-উবুদিয়াহ ২/৪৭৬)
সুতরাং তাওহিদুল ইবাদত কায়েম করতে হলে দুটি মৌলিক বিষয়ের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকতে হবে। (১) আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোনো কিছুর ইবাদত না করা। অর্থাৎ শিরকমুক্ত ইবাদত করা। (২) কোরআন ও হাদিস অস্বীকৃত কোনো ইবাদত না করা। অর্থাৎ বিদআতমুক্ত ইবাদত করা। আর এটাই ইসলামের প্রথম ও প্রধান স্তম্ভ। মহান আল্লাহ আমাদের আমল করার তাওফিক দান করুন।