হবিগঞ্জ – ১: জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আ’লীগ বিএনপির প্রার্থীগণ মাঠে সরব
নূরুজ্জামান ফারুকী নবীগঞ্জ প্রতিনিধি
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে হবিগঞ্জ নবীগঞ্জ – বাহুবল- ১ আসনে এরই মধ্যে রাজনৈতিক দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতাদের দৌড়ঝাঁপ বেড়েছে। মানুষের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন তাঁরা। প্রচার চালাচ্ছেন জোরেশোরে। এরই মধ্যে দ্বাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে সারাদেশে আওয়ামীলীগ, বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারনায় নেমে পড়েছেন। পিছিয়ে নেই হবিগঞ্জ-১(নবীগঞ্জ-বাহুবল) এ আসনে সম্ভাব্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।
আগাম নির্বাচনী প্রচারনার দিক থেকে ক্ষমতাসীন দল আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী হাফ ডজন প্রার্থী ও বিএনপি থেকে-২ ও জাতীয় পার্টি থেকে ১ জন প্রার্থী মাঠে সরব রয়েছেন। দলীয় মনোনয়ন পেতে তাদের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে বিভিন্ন সভা সমাবেশে সক্রীয় অংশগ্রহণ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রীয় হওয়ার পাশাপাশি নানা সামাজিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে দলের হাই কমান্ডের আস্থা অর্জন করতে নানা ধরনের তৎপরতা চালাচ্ছেন। পাশাপাশি সম্ভাব্য প্রার্থীরা নবীগঞ্জ-বাহুবলের হাট বাজার ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ওয়াল রাইটিং এবং তাদের সমর্থকদের মাধ্যমে ডিজিটাল ব্যানার ও ফেস্টুনে নিজেদের ছবি ব্যবহার করে ভোটার ও নেতাকর্মীদের কাছে পরিচিত হতে প্রচারনা করে যাচ্ছেন।
২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ও জামায়াত জোট সহ অধিকাংশ দল নির্বাচন বর্জন করলে এ আসন থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন জাপার কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান যুক্তরাজ্য প্রবাসী, এম,এ মুনিম চৌধুরী বাবু, ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হন আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী গাজী মোহাম্মদ শাহ্ নেওয়াজ (মিলাদ গাজী) বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী ছিলেন তৎকালীন গনফোরামের সধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া। বিএনপি নেতাকর্মীরা আগামী নির্বাচনে দল অংশগ্রহণ করলে নিজ দল থেকে প্রার্থী দেয়া জন্য দাবী জানান।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক গণ সংযোগ ও তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন বর্তমান সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহ্ নেওয়াজ (মিলাদ গাজী), কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সদস্য বর্তমান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরী, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এড. আলমগীর চৌধুরী, কেন্দ্রীয় যুবলীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মুকিত চৌধুরী, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম।
আওয়ামী লীগ স্পষ্টত নির্বাচনমুখী হলেও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিসহ ১০ দফা দাবিতে অনড় বিএনপি। আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রস্তুতি গ্রহণে সরব হলেও বিএনপির সম্ভাব্য দু-জন প্রার্থী মাঠে সরব রয়েছেন। সাবেক ছাত্রনেতা, সিলেট সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক, যুক্তরাজ্যে ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি এবং যুক্তরাজ্য যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, যুক্তরাজ্যে বিএনপি নেতা তালহা চৌধুরী গুরুত্ব দিচ্ছেন দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকে। দলীয় কোন্দল চরমে থাকায় কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ও সাবেক এম,পি শেখ সুজাত অনেকটা বেকায়দায়। বিভিন্ন কারণে বিএনপির একটি অংশ তার উপর ক্ষুব্ধ রয়েছে বলে জানা গেছে। আগামী দিনেও তাঁকে বিব্রতকর পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হতে পারে বলে জানিয়েছে স্থানীয় বিএনপির একটি অংশ। বিএনপির প্রার্থী হিসাবে তৃণমূলের পছন্দের তালিকায় আছেন, ক্লিন ইমেজের অধিকারী তালহা চৌধুরী, ২০২০/২১ সালে করোনা ক্রাইসিস এবং গত বছরের বন্যা পরিস্থিতি সহ বিভিন্ন ক্রান্তিকালে সাধারণ মানুষের পাশে থাকায় অনেকটা এগিয়ে আছেন তিনি।
এদিকে জাতীয় পার্টি থেকে সক্রীয় রয়েছেন কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান এম এ মুনিম চৌধুরী বাবু সম্প্রীতি যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরে তিনি দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করছেন। উনার দাবি তার সময়ে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।
জেলা আওয়ামীলীগ দলীয় প্রার্থীগণ নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রায় প্রতিদিন দলীয় নেতা কর্মীদের নিয়ে করছেন সভা সমাবেশ। এ অবস্থায় রাজনীতির মাঠে চলছে আওয়ামীলীগ বিএনপির ভোটের হিসাব-নিকাশ।