বাঁ পাশে শুলে হার্টের ক্ষতি হয়? যা বললেন চিকিৎসক

দৈনিকসিলেটডেস্ক:
শোয়ার ভঙ্গির সঙ্গেও নাকি জড়িয়ে রয়েছে হার্টের সমস্যা। এক্ষেত্রে বাম পাশ হয়ে শুলে কি হার্টের রোগ হয়? এই প্রসঙ্গে কী বলছেন চিকিৎসক, আসুন জেনে নেওয়া যাক।
হার্ট হল আমাদের শরীরের পাম্প। এই পাম্পটি নিরন্তর অক্সিজেন ও পুষ্টি সমৃদ্ধ রক্ত গোটা দেহে পৌঁছে দেয়। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত এই কাজটি বিরামহীনভাবে চলতে থাকে। তাহলে বুঝতেই পারছেন এই অঙ্গের সুস্থ থাকাটা ঠিক কতটা জরুরি!
প্রসঙ্গত, শেষ কয়েক দশকে বৃদ্ধি পেয়েছে হার্টের অসুখে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এমনকী ৩০-এর গোড়াতেও অনেকে হার্টের রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারাচ্ছেন। তাই এই অঙ্গের দিকে খেয়াল রাখাটা খুবই প্রয়োজনীয়।
মুশকিল হল, হার্ট নিয়ে বিভিন্ন সময়ে একের পর এক তথ্য সামনে আসে। এই সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে কোন তথ্য খাঁটি, আর কোনটা ভুয়ো, তা বোঝা বড় কঠিন কাজ। তাই বিশেষজ্ঞের মতামত জেনে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। এই যেমন- বেশকিছু দিন ঘরে শোনা যাচ্ছে, বাম পাশ ফিরে শুলে নাকি হার্টের ক্ষতি হয়? এই তথ্য কতটা খাঁটি? এই প্রসঙ্গেই মুখ খুললেন কলকাতা শহরের বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা: রুদ্রজিৎ পাল।
বাঁ পাশে শুলে হার্টের ক্ষতি হয়? এই বিষয়টি নিয়ে খুব একটা গবেষণা হয়নি। তবে কয়েকটি গবেষণা ইঙ্গিত দিয়েছে যে হার্টের অসুখে আক্রান্ত রোগীর বাম পাশ ফিরে শুলে সমস্যা হলেও হতে পারে। এক্ষেত্রে বাম পাশে শোয়ার সময় হার্টের পেশির কাজকর্মে সামান্য ব্যাঘাত ঘটতে পারে। তাই কিছু সমস্যা দেখা দিলেও দিতে পারে। তবে যাঁদের হার্টে কোনও সমস্যা নেই, তাঁদের বাম পাশ ফিরে শুলে কোনও সমস্যাই হয় না। তাই সুস্থ-স্বাভাবিক ব্যক্তিরা নিশ্চিন্তে বাঁ পাশে শুতে পারেন। এতে কোনও সমস্যার আশঙ্কা নেই বলেই জানালেন ডা: পাল।
ডান পাশে শুলে কোনও সমস্যা হয় কি? ডা: পালের কথায়, বাম পাশ নিয়ে কিছুদিন খুব হই চই হয়েছে। এখন আবার শুনছি, ডান পাশ করে শুলেও নাকি হার্টের সমস্যা হয়! এমন পোস্ট নাকি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে। যাঁরা এই ধরনের পোস্ট দেখে ভয় পাচ্ছেন, তাঁদের বলি, এই সব গুজবে কান দেবেন না। ডান পাশ হয়ে শুলে যে হার্টে সমস্যা হয়, এমন তথ্য কোনও গবেষণায় উঠে আসেনি। তাই উটকো তথ্যে কান না দেওয়াই মঙ্গল। বরং যেভাবে মন চায় শুয়ে পড়ুন।
৭ ঘণ্টা শান্তির ঘুম চাই: কী ভাবে শুয়েছেন তার থেকেও বেশি জরুরি কতক্ষণ ঘুমাচ্ছেন। মনে রাখবেন, এখন অনেকেই দিনে ৭ ঘণ্টাও ঘুমান না। আর সেই কারণে শরীরে একাধিক সমস্যা তৈরি হয়। এমনকী দেহের বায়োলজিক্যাল ক্লকও বিগড়ে যাচ্ছে। আর এর প্রভাব সরাসরি গিয়ে পড়ছে স্বাস্থ্যের উপর। এমনকী বাড়ছে হার্টের অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা। তাই চেষ্টা করুন দিনে অন্ততপক্ষে ৭ ঘণ্টা ঘুমানোর। আশা করছি এতেই হার্ট ও শরীর সুস্থ থাকবে। রোগব্যাধি পিছু নিতে পারবে না। সূত্র: এই সময়