ঘূর্ণিঝড় মোখার কবলে ৩ লবণ চাষির মৃত্যু
দৈনিকসিলেট ডেস্ক :
কক্সবাজারের মহেশখালীর হোয়ানক ইউনিয়নে তিন লবণ চাষির মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৫ মে) উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মীর কাশেম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রবিবার (১৪ মে) রাত সাড়ে ১০টা ও সাড়ে ১১টায় পৃথক স্থান থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মৃত্যু হয় একজনের।
মৃতরা হলেন উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের কালাগাজির পাড়া গ্রামের আবুল ফজলের ছেলে রিদোয়ান (৩৫), পানিরছড়া গ্রামের আকতার কবিরের ছেলে মুহাম্মদ নেছার (৩২) ও পানিরছড়া বারঘর পাড়ার মৃত মতিনের ছেলে মো. আনছার।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাতে ইউপি চেয়ারম্যান মীর কাশেম জানান, রবিবার সকালে পলিথিন ও লবণ উঠানোর জন্য ৪০-৫০ জন শ্রমিক লবণ মাঠে যান। এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে বৃষ্টি শুরু হলে শ্রমিকরা বৃষ্টির মধ্যেও কাজ করছিলেন। তাদের মধ্যে ঠাণ্ডা লেগে ছয়-সাতজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েন।
শ্রমিকদের মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হলে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রিদওয়ানকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছেন।
চেয়ারম্যান মীর কাশেম জানান, অপরদিকে লবণ মাঠে পলিথিন উঠাতে গিয়ে নিখোঁজ থাকার পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে পানিতে ভাসমান অবস্থায় মুহাম্মদ নেছারের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা। এ সময় সোনা মিয়া নামের আরেক শ্রমিককে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়েছে। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন। অপর ঘটনায় রাত সাড়ে ১১টার দিকে লবণ মাঠ থেকে মো. আনছারের মরদেহ উদ্ধার করেছে বলে জানান চেয়ারম্যান মীর কাশেম।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, হোয়ানক ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের আরো ১০-১৫ জন লবণ চাষি নিখোঁজ রয়েছেন।
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ ইয়াসিন বলেন, ‘তিনজনের মৃত্যু ও কয়েকজন অসুস্থ হওয়ার কথা শুনেছি। বিস্তারিত খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।