স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর স্ট্যাটাস, ‘পরপারে ভালো থেকো বউ’
দৈনিকসিলেট ডেস্ক :
বরিশালের ঝালকাঠিতে বাসা থেকে ডেকে এনে স্ত্রী সায়মা পারভীনকে তানহা (২০) ছুরিকাঘাতে হত্যার দায় স্বীকার করে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আলী ইমাম খান অনু (২৮)।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে ঝালকাঠি ইকো পার্কে এ ঘটনা ঘটে। এরপর হত্যার দায় স্বীকার করে নিজের ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন অনু।
নিহত সায়মা পারভীন তানহা ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। তিনি শহরের টিনপট্টি সড়কের শাহাদাত তালুকদারের মেয়ে।
পুলিশ জানায়, ঝালকাঠি শহরের ফকিরবাড়ি এলাকার দলিল লেখক দিদার হোসেন নান্নার ছেলে জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আলী ইমাম খান অনু ২০২১ সালের ২ সেপ্টেম্বর গোপনে বিয়ে করে প্রতিবেশী সায়মা পারভীন তানহাকে। বিয়ের পরে তারা আলাদাভাবে নিজের বাবার বাসায় থাকতো। সম্প্রতি মেয়েটি ফেসবুকে অন্য এক যুবকের সঙ্গে চ্যাটিং করতো। বিষয়টি জানতে পারে অনু রবিবার রাতে নিজের ফেসবুকে স্ত্রী পরকীয়ায় আসক্ত লিখে স্ট্যাটাস দেয়।
আজ সোমবার সকাল ১১টার দিকে স্ত্রীকে ফোনে ইকো পার্কে ডেকে আনে অনু। এরপর ফেসবুকের স্ট্যাটাস ও চ্যাটিং নিয়ে দুজনের মধ্যে কথার কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে অনু ছুরি দিয়ে স্ত্রীর পেটে ও বুকে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তানহার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পরে অনু তার ফেসবুকে বেলা ১২টার দিকে স্ত্রীকে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে স্ট্যাটাস দিয়ে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ ও ছুরি উদ্ধার করে।
অনু তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেন, ‘আমার বউ পরকীয়ায় আসক্ত হয়েছিল, তাই নিজেই তাকে খুন করেছি। এর জন্য আমি ছাড়া আর কেউ দায়ী নয়। ’ অপর একটি স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘বিশ্বাসঘাতক বেঈমানের এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার কোনো অধিকার নেই। পরপারে ভালো থেকো বউ, পরকীয়ার মজা এইবার অন্তত বুঝলা। ’
সায়মা পারভীনকে তানহার বাবা শাহাদাত হোসেন তালুকদার বলেন, আমার মেয়েকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মহিতুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পরপরই অনু পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে। তার দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী কলেজছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় অনুকে আটক করা হয়েছে।